গত কয়েক বছরে পোষা পাখি শিল্প ব্যাপক উন্নতি করেছে। দেশি ব্রিডাররা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উৎপাদনে সফল হয়েছে। এখন আর এই শিল্প আমদানিনির্ভর নয়। তবুও নির্বিচারে পোষা পাখি আমদানি হচ্ছে; যার সিংহভাগই নিম্নমানের। ফলে দেশি পাখি উৎপাদনরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নিম্নমানের আমদানি করা পাখিতে বাজার ছেয়ে গেছে। কম দামে বিক্রি হচ্ছে। মানুষ এসব পাখি কিনে প্রতারিত হচ্ছে। রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত এসব পাখি। বেশিদিন বেঁচে থাকছে না। যিনি কিনছেন, তিনি আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। নতুন পাখি পালকরা শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছেন। দেশে যারা উন্নত মানের পাখি উৎপাদন করছেন, তারা উৎপাদন খরচ উঠাতে পারছেন না। ক্ষতির মুখে পড়ছেন। লাভবার্ড, গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ, বাজরিগার পাখি আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। এগুলো বাংলাদেশে ভালোই উৎপাদিত হচ্ছে। পোষা পাখি আমদানির নামে অবৈধভাবে পাখি আমদানি হচ্ছে। স¤প্রতি এয়ারপোর্টে বড় একটি চালান আটক হয়েছে। আবার সীমান্ত দিয়ে রোগাক্রান্ত পাখি অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে। সীমিত আকারের আমদানির অনুমতি বহাল থাকুক। সেসব পোষা পাখি, যা বাংলাদেশে পর্যাপ্ত উৎপাদিত হয় না। নির্বিচারে পোষা পাখি আমদানি হলে দেশের এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। হাজার হাজার মানুষ পথে বসবে। তাই পোষা পাখি আমদানি সীমিতকরণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। কোন কোন পাখি আমদানি করা যাবে, সরকার নিদিষ্ট করে দিতে পারে। তাহলে দেশি উৎপাদকদের স্বার্থ যেমন অক্ষুণ্ণ থাকবে, অঙ্কুরেই বিনাশের হাত থেকে এই শিল্প রক্ষা পাবে।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
মিরপুর, ঢাকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন