ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ বছর বয়সী শিশু হালিমা আক্তার হত্যাকাণ্ডে তার আপন চাচা জড়িত। এক সহযোগীসহ তাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করা হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর গ্রামের ভূইয়াপাড়ার একটি বহুতল ভবনের পাশ থেকে হালিমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নাস্তা খেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়। তার খোঁজে পরিবারের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। জেলা পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে চাঞ্চ্যলকর এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে হালিমার আপন চাচা হেলাল ঘটনার দিন সকালে জিরো নামক এক প্যাকেট চিপস হাতে দিয়ে হালিমাকে কোলে তুলে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। এরপরই হেলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সে হালিমাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। সে পুলিশকে জানায়, হালিমার মা খাদিজা বেগমের সঙ্গে তার পূর্ববিরোধ ছিলো। একারণে খাদিজার ওপর প্রতিশোধ নিতে সে হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। প্রায় ১মাস পূর্বে হালিমার মা খাদিজা বেগমের সাথে হেলাল এবং হেলালের বাবা-মা’র গৃহস্থলী কাজ কর্মকে কেন্দ্র করে ঝগড়াঝাটি হয়। এছাড়া হেলাল বিভিন্ন সময় খাদিজাকে কু-প্রস্তাব এবং অশালিন কথাবার্তা বলতো। বিষয়টি খাদিজা অন্যদের জানালে তার ওপর হেলালের ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং হালিমাকে হত্যার মাধ্যমে খাদিজার ওপর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে সে। দু-সপ্তাহ আগেও বাড়ির পিছনের একটি পুকুরে হালিমাকে ডুবিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলো সে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন