শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লক্ষ্মীপুরে শিশু ধর্ষণের ১২ দিন পর থানায় মামলা

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৪৫ পিএম

লক্ষ্মীপুরে পাখির বাসা দেখাতে নিয়ে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার ১২ দিন পর মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার একমাত্র আসামী ফজলে রাব্বি (১৮) সদর উপজেলার কুশাখালি ইউনিয়নের ছিলাদী গ্রামের সাইফুল ইসলাম হারুনের ছেলে।
জানা গেছে, ভিকটিম শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী।
ধর্ষনের শিকার শিশু বাবা মোঃ লোকমান হোসেন জানান, গত শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কুশাখালি ইউনিয়নের ছিলাদী গ্রামের রফিক মেম্বারের বাড়ির পার্শ্ববর্তী কালভার্টের নিচে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে বখাটে রাব্বি। রাব্বি আমার মেয়েকে পাখির বাসা থেকে বাচ্চা নিয়ে দেওয়া কথা বলে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর আগে ঘটনাস্থলে ভিকটিমের সঙ্গে থাকা অন্য একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে রাব্বি।
আমরা মেয়েকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করলেও পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে নোয়াখালীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করি।
কুশাখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন জানান, ঘটনাটি আমি জানতে পেরে শিশুর বাবাকে ডেকে আনি এবং মামলার করার পরামর্শ দেই এবং শিশুটিকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বলি। বিষয়টি আমি দাসেরহাট পুলিশকেও অবগত করেছি।
শিশুটির বাবা লোকমান হোসেন আরো জানান, জুয়েল ও সোহেল নামের এলাকার দুই যুবক চিকিৎসার মাধ্যমে এ ঘটনাটি ধামাচাপা যেতে বলে। এসময় তারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে গ্রামে সমাধানের জন্য বলে। এখন যেহেতু মামলা হয়েছে সরকারী আইনানুযায়ী যা হয় আমি তাই চাই।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মহিন উদ্দিন জানান, আমি ঘটনাটি জানতে পেরে শিশুর বাবার সাথে দেখা করি। এসময় মেয়ের বাবা লোকমান হোসেন আমাকে জানান, আমরা এমনিতেই জর্জরিত। আমরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করে নিবো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দাসের হাট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মফিজ উদ্দিন জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে মামলাটি তদন্ত করা হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করেছি, তার চিকিৎসা চলছে। এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে, যার নম্বর ৫। আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
রুবেল ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:৩৭ পিএম says : 0
এই নিউজ দেখলেই বোঝা যায় যে দেশের আইনশৃঙ্খলার কতো অর্বনীতী হয়েছে!
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন