শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) ছিলেন একজন জীবন্ত ইতিহাস ও বহু প্রতিভার অধিকারী ক্ষনজন্মা আলেম

ঈসালে সওয়াব মাহফিলে আলোচনায় বক্তাগণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:০১ পিএম | আপডেট : ৮:০৪ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মাওলানা এম এ মান্নান ছিলেন এক জীবন্ত ইতিহাস। তিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক এবং নেতৃত্ব ও সেবার প্রেরণা। তিনি ছিলেন সদালাপী, বন্ধু বৎসল্য, অতিথিপরায়ণ। উদার ও অমায়িক এ মানুষটির সান্নিধ্যে এসে যে কেহই মুগ্ধ না হয়ে পারতেন না। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)-এর ১৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মিলনায়তনে আয়োজিত ঈসালে সাওয়াব মাহফিলে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের সভাপতি এবং দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশের অসংখ্য স্কুল কলেজ ও মাদরাসার অধিকার বঞ্চিত হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। তিনি বলেন, আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ ও শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধেয় পথিকৃত ছিলেন মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)। তাঁর প্রতিষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, দৈনিক ইনকিলাব ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্স যুগযুগ ধরে ইসলাম, ওলামা-মাশায়েখ এবং গণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক ও জমিয়াত সিনিয়ার সহ-সভাপতি মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)-এর বদান্যতা ও উদারহস্তের অবারিত দানে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ। আত্মপ্রত্যয়ী, নির্ভীক, অধ্যাবশায়ী, প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর অক্লান্ত কর্মী পুরুষ মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) এক জীবন্ত ইতিহাস। দেশে-বিদেশে বহু সংবর্ধনা ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। পৃথিবীর বহু মুসলিম দেশের সাথে মরহুমের ছিল আন্তরিক সম্পর্ক।
জমিয়াত কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) ছিলেন বহু প্রতিভার অধিকারী ক্ষনজন্মা একজন বড় মাপের আলেম। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে চিন্তাকরলে তিনি ছিলেন একজন উঁচু মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর আচার-আচরণ ছিল সুন্নতে রাসুল (সঃ) এ ভরপুর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল বড় বড় দরবার, খানকা, পীর-মাশায়েখ এবং ইসলামি রাজনৈতিক অঙ্গনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে হুজুরের সম্পর্ক ছিল গভীর। সকলেই হুজুরকে আপন মনে করতেন। জাতীয় জীবনে অনেক সংকটে তিনি ইসলামী নেতৃবৃদ এবং ওলামা-মাশায়েখগণকে যথাযথ দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবন সংগ্রামের অধিকারী একজন সফল মানুষ। জাতী, ধর্ম, দেশ ও সমাজের জন্য তিনি আজীবন কর্তব্য পালন করে গেছেন। এদেশের সচেতন সমাজ মরহুমকে কখনই ভুলবে না। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) শিক্ষা উন্নয়ন এবং শিক্ষক সমাজকে প্রতিষ্ঠা করাসহ সাহিত্য সাংবাদিকতায় পথ রচনা করে গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাব, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের তিন দশকের অবদান জাতীকে সমৃদ্ধ করে যাবে নিরন্তন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ঈসালে সওয়াব মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব মাওলানা ফারুক, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, প্রিন্সিপ্যাল ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল-মারুফ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মোঃ এজহারুল হক, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু ইউসুফ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছাদেক হাসান, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা তাজুল আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ হেলাল উদ্দীন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আতিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা রেজাউল হক, আলহাজ্ব ড. নাসির উদ্দীন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা গোলাম মাওলানা প্রমুখ।
আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, জমিয়াত সিনিয়ার সহ-সভাপতি ও নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাব আলহাজ্ব মাওলানা রূহুল আমীন খান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (16)
তাসলিমা বেগম ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:১৯ পিএম says : 0
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী, মসজিদে গাউছুল আজম ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক, বিচক্ষণ রাজনীতিক এক মহান ব্যক্তিত্ব। তার দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা ছিল বিরল। মহান আল্লাহ প্রিয় এই ব্যক্তিটিকে জান্নাতবাসী করুন। আমীন।
Total Reply(0)
সাদ বিন জাফর ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২১ পিএম says : 0
মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবকে আল্লাহতায়ালা উচ্চপর্যায়ের শিক্ষা, মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা দিয়ে ছিলেন। মাদরাসা শিক্ষকসহ সমগ্র শিক্ষক সমাজের হৃদয়ের স্পন্দন ছিলেন তিনি। মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব দেশে ও ইসলামী বিশ্বের সকল রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। তিনি সকল প্রতিকূলতা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। প্রকৃত অর্থে মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবের তুলনা তিনি নিজেই।
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম তৌকির ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২২ পিএম says : 0
আল্লাহ মরহুমকে জান্নাতে উঁচু মাকাম দান করুন। দেশের অসংখ্য স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার অধিকার বঞ্চিত হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। তিনি আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ ও শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধেয় পথিকৃৎ ছিলেন। উনাদের পক্ষ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত ঈসালে সওয়াব মরহুমের নিকট পৌঁছাতে থাকবে।
Total Reply(0)
আরাফাত হোসেন রবিন ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২৪ পিএম says : 0
প্রিয় মাওলানা মরহুম এম এ মান্নান (রহ.) কেবল একটি নাম নয়, একটি চেতনা, একটি নেতৃত্ব এবং একটি সাধনার প্রতীক। তিনি ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী প্রথিতযশা মহাক্কেক। তিনি ছিলেন এক খানদানী ঐতিহ্যের অধিকারী ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব, একটি ইতিহাস ও চেতনা। এদেশের আলেম সমাজ কাকে সবসময় স্মরণ করবে।
Total Reply(0)
M.M. Atikol Islam ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২৫ পিএম says : 0
মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান মানুষে জন্য দুনিয়াতে যে খেদমত করে গেছেন সে কর্মসমূহের সওয়াব নিয়মিত পৌঁছাতে থাকবে, ইনশায়াল্লাহ।
Total Reply(0)
amir ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২৭ পিএম says : 0
মাওলানা মান্নান জাতীয় দুর্যোগ মূহূর্তে নানানভাবে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। মাদরাসা শিক্ষাসহ শিক্ষাব্যস্থার উন্নয়ন, ওলামায়েকেরামের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন। আল্লাহ তাকে উত্তম পুরস্কার দিন।
Total Reply(0)
মোঃ সোহেল ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২৮ পিএম says : 0
শুকরিয়া। মাওলানা সাবের বিশেষ অবদানের মধ্যে রয়েছে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, লাখ লাখ মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এবং দৈনিক ইনকিলাব। তার এই সব নেক কাজের আজীবন সওয়াব পেতে থাকবেন ইনশায়াল্লাহ।
Total Reply(0)
Nabil Mohammed Javed ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৩৭ পিএম says : 0
Late Maulana M.A. Mannan united all the teachers and staffs of the Madrasas gaving them a life afresh and inspired them with new spirit. The rulers of the country thus able to understand the need and historical importance of the Madrasa Educations
Total Reply(0)
নুরুল আবছার ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৫৫ পিএম says : 0
আল্লাহ তায়ালা মরহুমকে জান্নাতবাসী করুন। তার খেদমতকে কবুল করে দেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করুন। আমীন।
Total Reply(0)
রিদওয়ান বিবেক ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৫৮ পিএম says : 0
মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবকে আল্লাহতায়ালা উচ্চপর্যায়ের শিক্ষা, মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা দিয়ে ছিলেন। মাদরাসা শিক্ষকসহ সমগ্র শিক্ষক সমাজের হৃদয়ের স্পন্দন ছিলেন তিনি। মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব দেশে ও ইসলামী বিশ্বের সকল রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। তিনি সকল প্রতিকূলতা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। প্রকৃত অর্থে মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবের তুলনা তিনি নিজেই।
Total Reply(0)
তাহমিদ ফেরদৌস ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:০২ পিএম says : 0
I believe Alhaj Maulana M.A. Mannan, one of the topmost Alim of our country and he was a legendary person. May Allah give him Jannah.
Total Reply(0)
Nizam Uddin ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:২২ পিএম says : 0
মাওলানা এম. এ. মান্নান (রহ.) দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশ করে যে নবদিগন্তের সূচনা করেন
Total Reply(0)
M N Ahmed ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:২৪ পিএম says : 0
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আজীবন সভাপতি হিসেবে মাদরাসা শিক্ষায় বিস্ময়কর উন্নয়ন ও মাদরাসা শিক্ষকদের ভাগ্যোন্নয়ন ও মর্যাদাবৃদ্ধি মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)-এর অসাধারণ অবদান।
Total Reply(0)
Kabir ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:২৬ পিএম says : 0
আসুন আমরা সকলেই মরহুম মগফুর মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:)-এর প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে সকল ভেদাভেদ ও মতপার্থক্য ভুলে দরবার, খানকা, পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামা, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি।
Total Reply(0)
Jubayer ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:২৬ পিএম says : 0
মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান ছিলেন বহু প্রতিভার অধিকারী ক্ষণজন্মা একজন বড় মাপের আলেম, ইবাদত-বন্দেগীর দিক থেকে তিনি ছিলেন একজন মস্তবড় আবেদ। রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে চিন্তা করলে তিনি ছিলেন উচ্চপর্যায়ের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সামা্িজকভাবে দেখলে মনে হয় তিনি ছিলেন একজন সমাজ সচেতনতাসম্পন্ন ও সামাজিক নেতা। তাঁর আচার-আচরণ আতিথেয়তা ছিল সম্পূর্ণ সুন্নতে রাসূল (স:) ভরপুর।
Total Reply(0)
pabel ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:২৮ পিএম says : 0
মাওলানা এম এ মান্নান জনদরদী নেতা ছিলেন। তিনি মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়নে এবং মাদরাসা শিক্ষকদের ভাগ্য উন্নয়নে প্রভূত অবদান রেখে গেছেন। জমিয়াতুল মুদার্রেছীন নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে যে ঐক্য সাধন করে গেছেন তা এখনও শিরাধার্যরূপে বিদ্যমান।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন