ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে টোটাইল মৌজায় একটি সরকারি খাল ভরাট করে হাউজিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। খালের উপর ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণের সাত মাসের মধ্যেই ভরাট করা হয়েছে। গত বছরের ৭ই জুন ব্রীজটি উদ্বোধন করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ। ভরাট খালটির জমির পরিমাণ প্রায় ৩’শ শতাংশ। এই জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, তারানগর ইউনিয়নের ঘাটারচরে টোটাইল মৌজায় একমাত্র শতবর্ষের পুরাতন খাল হচ্ছে এটি। এই খাল দিয়ে নৌকাযোগে এক সময় ঘাটারচর, জয়নগর, কলমারচর, আটিসহ কয়েকটি ্গ্রামের লোকজন বুড়িগঙ্গা হয়ে রাজধানীর বছিলা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় যাতায়াত করতো। খালের পানি গ্রামবাসী কৃষি কাজে ব্যবহার করতো। গত বছরের জুন মাসে ঘাটারচর ও সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের লুটেরচরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে খালের ওপর একটি ব্রীজ নির্মিত হয়। ব্রীজ নির্মাণের আগেই খালটি পুনঃখনন করা হয়। কিন্তু ব্রীজ নির্মাণের সাত মাস যেতে না যেতেই হাউজিং ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট এই খালটি ভরাট করে তাদের ক্রয়কৃত জমির সাথে একত্রিত করে প্লট আকারে বিক্রি করছে। খালটি ভরাট করে ফেলায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে সরকারের কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। ঘাটারচরের বাসিন্দা মো. রতন মিয়া জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই খালের পানি জমিতে সেচ কাজে এবং গৃহস্থালি নানা কাজেও ব্যবহার করতাম। এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা কোনো খাল ভরাট করিনি। আমরা আমাদের বাপ-দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি ভরাট করে প্লট করেছি। তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক বলেন, ব্রীজ নির্মাণের আগেই খালটি পুনঃখনন করা হয়। কিন্তু একটি চক্র রাতের আঁধারে খালটি বালি ফেলে ভরাট করে ফেলে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য খালটি রক্ষা করা দরকার। কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মাইনুল আমিন বলেন, সরকারি খাল কেউ ভরাট করতে পারবে না। কেউ যদি তা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন