শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রকল্পে অনিয়মের তদন্ত দাবি জাতীয় কমিটির

প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে গৃহীত ‘গেøাবাল মেরিন ডিস্ট্রেস্ড অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম’ (জিএমডিএসএস) প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দাবি নিশ্চিত করতে অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। গতকাল (শুক্রবার) এক যুক্ত বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান এবং সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আশীষ কুমার দে সরকারের কাছে এই দাবি জানান।
একই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থে প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি করে নতুন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ এবং গত দুই বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন নিরীক্ষা কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
এছাড়া বৈদেশিক অর্থপ্রাপ্তির আগে কেনো বিলাসবহুল একাধিক গাড়ি ক্রয়, বিশাল অফিস ভাড়া ও জনবল নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রকল্পের মূল কাজ শুরুর আগে গত দুই বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কত টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সমুদ্র উপকূলে নৌনিরাপত্তা জোরদারকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে ৩৭০ কোটি ৮৯ লাখ ৪ হাজার টাকার জিএমডিএসএস প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এই অর্থের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা ২৮২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। বাকি ৮৮ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের অধীনে সমুদ্র ও সমুদ্র উপকূলে ফিশিং ট্রলারসহ সবধরনের জাহাজ চলাচল নির্বিঘœ করতে কক্সবাজার, কুতুবদিয়া ও সেন্টমার্টিনসহ কয়েকটি এলাকায় লাইট হাউজ এবং রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অধিদপ্তরের নিজস্ব বহুতল ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে। নৌমন্ত্রণালয় ২০১৪ সালের ২৫ মে একজন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। অথচ এর মূল কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রকল্পের অনুকূলে কোরিয়া সরকার এখনও অর্থ ছাড় করেনি।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, বৈদেশিক অর্থপ্রাপ্তির আগেই একাধিক বিলাশবহুল গাড়ি ক্রয়, মতিঝিলে বিশাল অফিস ভাড়া এবং জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদের পেছনে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এভাবে দীর্ঘ দুই বছর ধরে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করা হয়েছে। এখন সরকারি অর্থ সহায়তা তিনগুণ করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। বিৃবতিতে আরো দাবি করা হয়, দক্ষ ও যোগ্য পিডি নিয়োগ না দেয়া হলে বার বার মেয়াদ বাড়িয়েও এ প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন