বরিশাল ব্যুরো : মওসুমের চতুর্থ মৃদু কালবৈশাখির আঘাতে গতকাল বিকেলে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থা পুনরায় লÐভÐ হয়ে যায়। আবহাওয়া বিভাগ বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদী বন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দখাতে বলেছে। ফলে অনধিক ৬৫ ফুট দৈর্ঘের সব যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে বৃষ্টিপাতের কারণে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে পুনর্বাসন হয়নি।
এমনকি নগরীর উত্তর প্রান্তের পলাশপুর ৩৩ কেভী সাব-স্টেশনমুখি সঞ্চালন লাইনটিও বন্ধ ছিল। বরিশাল মহানগরী ছাড়াও পুরো জেলা এবং ঝালকাঠীসহ ২৮টি ১১কেভী ফিডারের সবই বন্ধ হয়ে যায় এ বর্ষণে। রাত ৮টা পর্যন্ত বরিশালে প্রায় ২০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালে। গতকাল বিকেল ৫টার পরে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ২০কিলোমিটার বাতাসের সাথে মাঝারী মাপের বর্ষণ শুরু হয়। দমকা আকারে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে বৃষ্টিপাতের সাথে হালকা বাতাসেই বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মওসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। পটুয়াখালী, মাদারীপুর ও খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকার কথা জানিয়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
গত ১ ও ২ মে দু’দফার কালবৈশাখির পরে ৭মে বরিশালে সামান্য বৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই পুনরায় দুঃসহ গরমে অতীষ্ঠ হয়ে ওঠে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এমনকি স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায় দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা। গত বৃহস্পতিবার বরিশালে মওসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বরিশালে ৩৭.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন