ময়মনসিংহ অফিস : ময়মনসিংহের ভালুকায় ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী কায়েস মাহমুদকে মডেল থানা পুলিশ রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে মারাত্মক নির্যাতন করেছে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ বলেছেন, কায়েস হয়রানি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। সে দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বরাইদ গ্রামে।
নির্যাতনের শিকার গ্রেফতারকৃত যুবকের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার বরাইদ গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মেদুয়ারী ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী কায়েস মাহমুদের সঙ্গে একই এলাকার আবুল কালম আজাদের ছেলে কাসবিনের জমি সংক্রান্ত মামলা চলে আসছিল। সম্প্রতি কাসবিনের দায়েরকৃত কোর্টপিটিশন মামলায় যুবলীগ কর্মী কায়েস ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী। শনিবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এসআই মিনহাজ ও ওয়ারেন্ট অফিসার এএসআই রুপন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কায়েসকে গ্রেফতার করতে গেলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় এএসআই রুপন কায়েসকে ধরে বেধড়ক মারধর করে আহত অবস্থায় ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গ্রেফতারকৃত কায়েসের স্বজনরা জানান, রাত ১ টার সময় পুলিশ পরিচয়ে বাড়ির উঠানে এসে প্রথমে দরজা খোলার জন্য ডাকা ডাকি করে। ডাকাত ভেবে দরজা না খোলায় এসআই মিনহাজ ও এএসআই রুপন তাদের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় কায়েস দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এএসআই রুপন তাকে ধরে ব্যাপক মারধর করে। কায়েসের চোখের পাশ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম করা হয়। তাছাড়া ঘটনার সময় কায়েসের ছোট ভাই খোরশেদ আলমকেও থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতনের খবর পেয়ে সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক রফিকুল ইসলাম পিন্টুসহ নেতা-কর্মীরা কায়েসকে থানায় দেখতে যান।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী অফিসার মিনহাজ ও ওয়ারেন্ট অফিসার রুপন জানান, আসামী কায়েসকে চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়েছে মাত্র। তবে সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ওসি মামুন অর রশিদ জানান, পুলিশের হাতে আসামী নির্যাতনের শিকার হলে তদন্তপূর্বক অফিসারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি পুলিশি কাজে বাঁধা ও পুলিশকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করায় আসামীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন