জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ ইসলামের দাপট তার হল নিয়ন্ত্রিত বটতলাতেই সীমিত থাকলেও এই জায়গায় তার দাপট বেশ ভালই। বঙ্গবন্ধু হল নিয়ন্ত্রিত বটতলায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরাও তার হাত থেকে রেহাই পান না। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশ^বিদ্যালয় প্রতিনিধি সৈয়দ এলতেফাত হোসাইন বটতলা থেকে মেডিক্যাল যাওয়ার জন্য একটি রিক্সা ভাড়া করে। এমন সময় সৌরভ এসে এলতেফাতকে রিক্সাটি ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু এলতেফাত রিক্সাটি ছেড়ে না দেয়ায় ঐ ছাত্রলীগ কর্মী হুংকার ছাড়েন, ‘এটি বঙ্গবন্ধু হলের বটতলা। এখান থেকে তোকে রিক্সা নিয়ে যেতে দেবো না। এখানে সবকিছু আমার কথায় চলে’ বলে রিক্সাটি থামিয়ে দেয়। তখন এলতেফাত নিজের সাংবাদিকতার পরিচয় দিলে রিক্সাটি ছেড়ে দিলেও ঐ সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় সৌরভ। সৌরভ ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪০ তম ব্যাচের ছাত্র ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। সে নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ‘সে কখনই ছাত্রলীগ করেনি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সে ছাত্রদল করতো। তার ধারণা ছিলো ২০১৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সে বড় নেতা হবে। কিন্তু তার ধারণা বুমেরাং হওয়ায় সে এরপরে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা আসিফের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়’। এখন সে রীতিমত ক্যাম্পাসের ডন। এ বিষয়ে সৌরভ ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে সে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে পরে সে জানায় ‘আমি আসলে ভদ্রভাবেই কথা বলেছিলাম। আমাকে আসলে ভুল বুঝা হচ্ছে’। উল্লেখ্য, এর আগে নিজের রুমকে টর্চার সেল বানিয়ে হলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে হল প্রশাসন তাকে কারণ দর্শানোরও নোটিশ দেয় । কিন্তু তিনি তখন এ নোটিশের কোন উত্তর প্রদান করেননি। এর পর থেকেই তিনি সাংবাদিকদের উপর যে কোন ইস্যু বানিয়ে চড়াও হন। এছাড়া সে ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন