পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাবনাবাদ নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ইটবোঝাই ট্রলারসহ দুই শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার হয়েছে পাঁচ শ্রমিক। গত শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শ্রমিক মো. নুরুল ইসলাম (৩০), মো. সাইফুল ইসলাম কে (২৮) এবং ট্রলারটি উদ্ধারে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি সদস্যরা চেষ্টা করছেন। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা হচ্ছে মো. নাসির উদ্দিন, মো. মাসুম, মো. রাসেল, মো. তোফাজ্জেল এবং মো. মানিক। এদের বাড়ি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। নিখোঁজ দুই শ্রমিকের বাড়ি একই ইউনিয়নের বাইনবুনিয়া গ্রামে। গতকাল সকাল থেকে নিখোজ শ্রমিকদের স্বজন এবং স্থানীয় মানুষ নদীর তীরে ভীর করে আছে। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার শেষ বিকালে কলাপাড়া থেকে ট্রলারটি ইট বোঝাই করে পার্শ্ববর্তী গলাচিপায় যাচ্ছিলো। রাত গভীর হওয়ায় উপজেলার চাম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ট্রলারটি নোঙর করে সাত শ্রমিক ঘুমিয়ে পরে। এ সময় একটি বাল্কহেড এসে নোঙর করা ইট বোঝাই ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের পাঁচ শ্রমিক ওইরাতে স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার হয়। বাকী দুই শ্রমিক শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনাস্থলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তানভীর রহমান এবং কলাপাড়া থানার পুলিশ সদস্য, নীলগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ্যাভোকেট মো. নাসির মাহমুদ, ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো.রিয়াজ তালুকদার এবং চাম্পাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.রিন্টু তালুকদার ও ফায়ারসার্ভিস কর্মী, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং চৌকিদার-দফাদার উপস্থিত রয়েছেন। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুল হোসেন জানান, পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক শিকদারের নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্ধার অভিযান চলছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কলাপাড়া থানার এস,আই বিপ্লব মিস্ত্রি জানান, নিমজ্জিত ট্রলারের উদ্ধার হওয়া পাঁচ শ্রমিকের মধ্যে মো. মানিক আহত হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে নিমজ্জিত ট্রলার ও নিখোঁজ দুই শ্রমিককে উদ্ধার কাজ অব্যহত রয়েছে। রাবনাবাদ নদীর তীরের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখাদিলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন