চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী রক্ষায় দ্বিতীয় পর্যায়ের উচ্ছেদ অভিযান শুরুর প্রস্তুতি চলছে। সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় সভা করে খুব শিগগির উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। দ্বিতীয় পর্যায়ে নগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে পতেঙ্গায় কর্ণফুলীর মোহনা পর্যন্ত নদীর দু’তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আদালতের নির্দেশনা মেনে লুসাই কন্যা খরস্রোতা কর্ণফুলীর দুই তীর অবৈধ দখলমুক্ত করতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাঁড়াশি অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন। ২ হাজার কোটি টাকার ১২৫ একর জমি উদ্ধারে প্রায় আড়াই হাজারের মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
প্রথম দফায় অভিযানে নগরীর সদরঘাট লাইটারেজ জেটি থেকে বারিক বিল্ডিংয়ের অদূরে বাংলা বাজার পর্যন্ত প্রায় পৌনে চার শতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। উন্মুক্ত করা হয় ১০ একর মূল্যবান ভূমি ও ৫টি খালের মুখ। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো ওই এলাকায় গুঁড়িয়ে দেয়া ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনার জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজ করছিল শ্রমিকরা। সিটি কর্পোরেশনের তত্তাবধানে কর্ণফুলীর তীর জঞ্জালমুক্ত করার কাজ চলছে।
উদ্ধার অভিযান তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী তীরের জঞ্জালমুক্ত করতে আরও অন্তত দুইদিন সময় লাগবে। কয়েকশ শ্রমিক সেখানে কাজ করছে। জঞ্জালমুক্ত করার পর সীমানা পিলার দিয়ে উদ্ধারকৃত জমি দখলে নেয়া হবে। তিনি বলেন, সমন্বয় সভা করে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং খুব শিগগির বারিক বিল্ডিং থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত অভিযান শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন