জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখায় জালিয়াতি করে ১৭৪৫ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান এম এ আজিজসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে বলে ইনকিলাবকে জানিযেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। এর আগে গত সপ্তাহে মামলাগুলো অনুমোদন দেয় দুদক। মামলায় ১৭৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের এবং তার ভাই জাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক ও রিমে´ ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান এম এ আজিজ এবং সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি জাকির হোসেনসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচারের দায়ে মানিলন্ডারিং আইনে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও সরকারি ব্যাংকের দুই ডিএমডিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। চকবাজার মডেল থানায় দায়ের করা তিন মামলায় ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৪২২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা, ৪৮১ দশমিক ২৬ কোটি টাকা ও ১৫ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ওই তিন মামলায় আসামিরা হলেন- ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম মনি, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ও এমডি লিটুল জাহান , জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ডিএমডি মো. জাকির হোসেন, কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি ফখরুল আলম, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম আসাদুজ্জামান, মো. ইকবাল, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. খায়রুল আমিন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মগরেব আলী, প্রিন্সিপাল অফিসার মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সিনিয়র অফিসার মো. সাইদুজ্জাহান, মো. মনিরুজ্জামান ও মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনায় ওই দিনই ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন