বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নিঃসঙ্গ তিন কোটি টাকার সেতু!

দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলাকে দুইভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল নোয়াই নদী। ফলে নাগরপুর উপজেলার পূর্বাংশ উপজেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। বর্ষা মৌসুমে জনদুর্ভোগ আরো বেড়ে যেত। নদীর ওপর সেতু না থাকায় সড়কটি কখনও উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। ব্যস্ততম সড়কটি দীর্ঘদিনেও হয়নি পাকা। এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নাগরপুর ইউনিয়ন পরিষদ হতে আলোকদিয়া সড়কে নোয়াই নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ৭২.০৬ মিটার দৈর্ঘের সেতু নির্মাণ করে। ওই সময় টাঙ্গাইল-৬ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আলহাজ খন্দকার আব্দুল বাতেন সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এক বছরের মাথায় নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতুটির নির্মাণে চুক্তিমূল্য ধরা হয় ২ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৩ টাকা অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি টাকা। অল্প সময়ে সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ধারণা করেছিল দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগের অবসান ঘটবে। কিন্তু সেতু নির্মাণ হওয়ার দু’বছর পার হলেও এখনো সেতুর দু’পাশে মেলেনি সংযোগ সড়ক। এতে জনদুর্ভোগ আরো বেড়েছে। সরকারের প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় সেতুটি সংযোগ পাচ্ছে না।
সাধারণ মানুষের কোনো কাজেই আসছে না সরকারের এতো টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। উপজেলার পূর্বাংশের সাধারণ মানুষকে উপজেলা শহরে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি সম্পন্ন না হওয়ায় সড়কটি পাকা হচ্ছে না। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও যানবাহন চলার সুযোগ নেই। ফলে মেঘনা পানান পর্যন্ত বিশাল এলাকার জনগোষ্ঠী পায়ে হেঁটে শহরে আসছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ এমনকি রোগীদের হাসপাতালে আনতে জনদুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আলোকদিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন ও ফজল মিয়াসহ স্থানীয়রা জানালেন, এক বছরের মাথার সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও দুপাশের মাটি দু’বছরেও ভরাট হয়নি। ফলে সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী হচ্ছে না। সেতুটি সম্পন্ন না হওয়ায় নোয়াই নদীর দু’পাশের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সেতু নির্মাণ হওয়ার পরও দুর্ভোগ নিয়েই চলছে দু’পাড়ের সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহিনুর ইসলাম সংযোগবিহীন সেতুতে জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, মামলা-মোকাদ্দমার জন্য সেতুর কাজ শেষ হচ্ছে না। শিগগিরই সেতুর কাজ ধরার আশ্বাস দেন তিনি। তবে কী ব্যাপারে মামলা হয়েছে সে বিষয়ে কোন তথ্য জানাননি উপজেলা প্রকৌশলী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন