বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদীস মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, কাদিয়ানীরা অমুসলিম এবং তারা কাফের। রাবেতায়ে আলমে ইসলামীর অন্তর্ভুক্ত ১০৫টি দেশের সর্বোসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে কাদিয়ানীরা কাফের। পৃথিবীর ৪২টি মুসলিম দেশে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘোষণায় রয়েছে সৌদি আরবও। ১৯৯৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে ‘আইনের দৃষ্টিতে কাদিয়ানীরা অমুসলিম এবং কাফের। কাদিয়ানী নেতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজকে আল্লাহর সমকক্ষ দাবি করে রাসূল (সা.)-এর ঊর্ধ্বে নিজেকে স্থান দিয়েছেন। নেতৃদ্বয় বলেন, কাদিয়ানীদের প্রকাশিত রুহানী খাজায়েন নামক পুস্তুকে এরূপ বাহাত্তরটি ভ্রান্ত দাবি চিহিৃত করা হয়েছে। এরপরেও সরকার কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা না করে তাওহিদী জনতার দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কাদিয়ানীদের পক্ষাবলম্বন করছে। কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী যারা কাদিয়ানীদের পক্ষাবলম্বন করবে তারাও অমুসলিম ও কাফের বলে সাব্যস্ত হবে। তারা বলেন, হাইকোর্টের রায়ের কারণে সরকারের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। অথচ কদিয়ানীরা অমুসলিম ও কাফের’ এরূপ হাইকোর্টের রায় থাকার পরেও এক্ষেত্রে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বলেন, প্রশাসনের কেউ কেউ কাদিয়ানীদের পক্ষে ক্ষমতা ব্যবহার করছে। রেলমন্ত্রী ও মাগুরার পুলিশ এসপিও কদিয়ানীদের পক্ষাবলম্বন করছেন। কাদিয়ানীদের পক্ষাবলম্বনকারী কেউই মন্ত্রী ও সরকারের প্রশাসনে থাকতে পারে না। কাদিয়ানীদের বিপক্ষে হাইকোর্টের রায় থাকার পরেও সরকারের মন্ত্রী ও প্রশাসনের এরূপ অবস্থান ইসলামী জনতার নিকট বোধগম্য নয়। তাই সরকারের নিকট দেশের উলামা মাশায়েখ ও ইসলামী জনতার দাবি হচ্ছে, কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের সকল ধর্মীয় আস্তানা বাজেয়াপ্ত এবং প্রকাশনা নিষিদ্ধ করে সরকার ও জনগণের ঈমান রক্ষার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
হেফাজতে খতমে নবুওয়াত
হেফাজতে খতমে নবুওয়াতের আহবায়ক শাহ সূফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী বলেন, রাসূল (সা.) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। যারা রাসূল (সা.)কে সর্বশেষ নবী না মানবে তারা কাফের। কাদিয়ানী নেতা মির্জা গোলাম আহমদ নিজেকে নবী দাবি করে কাফের সাব্যস্ত হয়েছে। তাই কাদিয়ানীদের ইজতেমা বন্ধ করলেই হবে না, কাদিয়ানীদেরকে সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন। পাশপাশি আল্লাহ রাসূল (সা.) ও কুরআন অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করতে হবে। অন্যথায় অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই এর দায়ভার গ্রহণ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন