ফুলবাড়িয়ায় কৃষক লীগ নেতা ঠিকাদার জয়নাল আবেদিন বাদলের করা চাঁদাবাজি মামলায় বুধবার রাতে পৌর যুবলীগের সভাপতি ও ঠিকাদার আ. মালেক (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ৯টায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাত ১০টায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রকিবের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতার বিচারের দাবিতে শত শত মানুষ থানার গেটে অবস্থান নিয়ে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে এক ঘন্টা পর বিক্ষোভকারীরা থানার সামনে থেকে সরে যায়।
এ সময় গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা থানা হাজতেই ছিলেন। গ্রেফতারকৃতকে গতকাল সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গতকাল স্থানীয় বঙ্গবন্ধু পাবলিক হলে মামলার বাদি সাবেক কৃষক লীগ নেতা ঠিকাদার জয়নাল আবেদিন বাদল সাংবাদিক সম্মেলন করে গ্রেফতারকৃত আ. মালেক ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ঠিকাদার বাদল বলেন, ফুলবাড়িয়া পৌরসভার দরপত্র অনুযায়ী পল্লী বিদুৎ অফিস থেকে জোরবাড়িয়া কাচারী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ করতে গেলে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আ. মালেক ও তার লোকজন। চাঁদার টাকা না দেয়ায় সড়কের কাজ বন্ধ করে দেয়। বুধবার সকালে যুবলীগ নেতা আ. মালেকসহ তার লোকজন উপজেলা পরিষদ সামনে আমাকে মারপিট করে আবারও চাঁদা দাবি করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার ভগ্নিপতি সাবেক উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. উসমান গণি, ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রকিব। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেছেন। ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, এক ঠিকাদারের চাঁদাবাজি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন