নেতা নেই, কর্মী নেই শুধু খাতা কলমে বিদ্যামান আছে এমন ছাত্র সংগঠনগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই নিজেদের প্রকাশ করে দৃশ্যমান করতে শুরু করেছে। দিচ্ছে বাহারী রকমের কমিটি। যারা কোন দিন রাজনীতিই করেনি এমনরাই হচ্ছেন আবার আহ্বায়ক। নিস্ক্রিয় হওয়া এই পুরাতন ছাত্র সংগঠনগুলো দৃশ্যমান করতেই চলছে চমক। এক যুগের বেশি সময় ধরে যে ছাত্র সংগঠনগুলোর অস্তিত্ব ছিলো না হঠাৎ করেই কমিটির তালিকা প্রকাশ করেই সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চলছে তাদের। সংলাপ আয়োজন শুরু হওয়ার পর থেকেই হঠাৎ ৩টি সংগঠন তাদের কমিটি ঘোষণা করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচনী সংলাপ উপলক্ষে মোট ১০টি ছাত্র সংগঠন তাদের কমিটির তালিকা ও গঠনতন্ত্র জমা দেয়। তথ্য বিশ্লেষনে দেখা গেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট লেলিনবাদী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর আগে থেকেই নিজেরদেরকে প্রকাশ করেছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে চমক সৃষ্টি করতে পারে প্রথমবারের মত নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে এই সংগঠনটিকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংগঠনটিকে নিয়ে চলছে নানা রকমের কৌতুহল।
তবে বাকি তিনটি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, জাতীয় ছাত্র সমাজ নামের ছাত্র সংগঠনগুলো নতুনভাবে নিজেদেরকে প্রকাশ করছে। যাদের মধ্যে রয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। মাকর্সপন্থী সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টে নামে এ সংগঠনটি গত ২৭ জানুয়ারি ৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করে। এদিকে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। তালিকা থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর কমিটি অনুমোদন দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোড়ল জিয়াউর রহমান। তবে এতদিন অন্ধকারেই ছিলো ছাত্র সমাজ নামের এই ছাত্র সংগঠন। এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী নামের সংগঠনটি বছরে নতুন শিক্ষার্থীরা আসলে একবার ব্যানার নিয়ে টুকিটাকিতে দাড়াতে দেখা যায়। তাই এ নিয়ে চলছে সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা। এ বিষয়ে রাকসু নির্বাচনী সংলাপ কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, যে সংগঠনগুলো কমিটির তালিকা ও গঠনতন্ত্র জমা দিচ্ছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এর পর সংঠনগুলোর সাথে সংলাপের মাধ্যমে নীতিমালা তৈরি করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন