বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১টি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেয়র সাঈদ খোকন

বিশেষ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

অগ্নিকান্ডের কারণে অনেক মানুুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ে। তখন ওই অসহায় মানুষটি কোথায় যাবে, কী খাবে তা নিয়ে চরম ভোগান্তাতি পড়ে। আর এ ধরনের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। এসব ঘটনায় যাদের গাফলতি থাকে তেমন অন্তত একটি ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ সব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বৈঠকে তিনি আরো বলেন, জনবহুল পুরান ঢাকার ক্যামিকেল গোডাউনগুলো একটা বড় সমস্যা। নিমতলি ট্রাজেডির পরই কেমিক্যাল গোডাউনগুলো সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু সম্ভব হয়নি। চলতি সপ্তাহেই পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে। অভিযানে ঝুকিপূর্ণ কেমিক্যাল গোডাউনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ইস্যুজ ইন বাংলাদেশ, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর এবং ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইসাব)।
তিনি বলেন, এই শহরটা আমাদের। এ শহরের মানুষের নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানের সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে আমাদেরকেই। গত ১০/১৫ বছরে যে শহর ছিল তা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তন আসবে, সেই জন্য একটু সময় দরকার। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিষয়ক একটা প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনে শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক একটি অধ্যায় যোগ করার পরামর্শ দেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বিভিন্ন অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর নাশকতা প্রশ্ন উঠলেও শেষ পর্যন্ত সুরাহা না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কড়াইল বস্তি, গুলশানের সিটি কর্পোরেশন মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি অগ্নিকান্ডের পর সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু সেসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি কিংবা মামলা হলেও বিষয়গুলো সুরাহা হয়নি। অগ্নিকান্ডের কারণটাও জানা সম্ভব হয়নি।
বৈঠকে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন তার আলোচনায় বলেন, সারা শহরের নিচে মাকড়সার জালের মতো গ্যাসের লাইন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ভূমিকম্পের মতো দুর্ঘটনা ঘটলে গ্যাসের লাইনগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যা হবে তা আমাদের চিন্তার বাইরে। তাই খুব শিগগির গ্যাস লাইনগুলোতে অটোসেন্সর স্থাপন করতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান(অব.)। তিনি তার বক্তব্যে অগ্নিকান্ডের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এছাড়া, অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে করনীয় ও চলমান কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চিফ ইঞ্জিনিয়ার পাবলিক ওয়ার্কার ডিপার্টমেন্ট আব্দুল মালেক, তারেক বিন ইউসুফ ও মোতাহার হোসেন খানসহ অনেকে অংশ নেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন