শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মোসাদের সাথে ছবি প্রকাশের পরও বিএনপি মহাসচিবের অস্বীকার হাস্যকর-ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ

প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য ‘মোসাদের সাথে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই’। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিএনপির সিনিয়র নতুন যুগ্ম মহাসচিব আসলামের সাথে মোসাদের এক এজেন্টের বিভিন্ন ছবি ছাপানো হয়েছে। এরপরও মহাসচিবের অস্বীকারকে অনেকেই প্রলাপ হিসেবে দেখছে। প্রতিবাদী বক্তব্য আর প্রকাশিত ছবি প্রমাণ করে ফখরুল সাহেবের বক্তব্য শুধুমাত্র আইওয়াশ।
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের কোন মুসলিম দেশের সাথে ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টি পবিত্র কুরআন শরীফ পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী। আবার বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ সংবিধানের ধারা অনুযায়ী বড় ধরনের দÐনীয় অপরাধ। এরপরও বিসমিল্লাহর ধ্বজাধারী বিএনপি, গোটা মুসলিম বিশ্বের প্রধান দুষমন ইসরাইলের সঙ্গে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কিভাবে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সাথে দিল্লি ও আগ্রাতে গোপন বৈঠকে মিলিত হলো। মুসলিম দেশের একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে তা ভাবতেও অবাক লাগে। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে বলেন, আপনি ঘোলা পানিতে মাছ ধরার যত অপচেষ্টাই চালান না কেন? একটু দেরীতে হলেও জাতির সামনে আপনাদের সঠিক চেহারা উন্মোচিত হয়েছে হচ্ছে। ফখরুল গংরা ইহুদীদের সাথে আঁতাত করার মূল লক্ষ্য ক্ষমতার মসনদ তা জাতির নিকট আজ স্পষ্ট। সংবাদটি প্রচার হওয়ার পর বিএনপির প্রত্যন্ত অঞ্চলের রান্নাঘর থেকে শুরু প্রতিটি সেক্টরে একটিই আলোচনা, আর তা হলো বিএনপির প্রতি ধিক্কার আর ঘৃণার প্রকাশ পেয়েছে।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, আসলাম বাংলাদেশের এমন কোন আলোচিত ব্যক্তি নয় যে, ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, গোপন বৈঠক হবে। বিজাতীয় মহিলাসহ ফুলের মালার ছবি, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- আসলাম নামীয় একজন মুসলিম মেন্দি এন সাফাদিকে কোন অদৃশ্য ইশারায় আগ্রার মেয়র সংবর্ধনা দিল। এ বিষয়টি জাতির বিবেকে সবচেয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন। এরপরও মির্জা ফখরুল গংরা বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অস্বীকার পাগলের সংলাপ ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যায় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন