নদীমাতৃক বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌপথ। সেই নৌপথে যাত্রী কিংবা পণ্য পরিবহনে ব্যবহূত ট্রলার, লঞ্চ, কার্গো, স্টিমার চলাচলে নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্নিষ্ট বিভাগ গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকে। তার পরও অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের মধ্যবর্তী পয়েন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ভৈরব ও আশুগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক যান চলাচল করে থাকে। উলিল্গখিত পয়েন্টটিতে বছরের প্রায় সময়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে শীতকালে ঘন কুয়াশার সময় সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে বেশি। সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের আজবপুর থেকে অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর পর্যন্ত, নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়ের শেষ সীমানা থেকে অরুয়াইলের শুরু হয়ে, বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ও বাহেরবালীর মধ্যবর্তী স্থানে ডাকাত দল থাকে বেপরোয়া। উলিল্গখিত স্থানসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়ও পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দিয়ে আরও নিরাপত্তা জোরদার করা হোক। এ নৌরুটে জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শেখ আবুল খায়ের আনছারী
চাতলপাড়, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন