১০০ টাকায় ১০ কেজি পেঁয়াজ। ২০০ টাকার ২২ কেজি। মেহেরপুরের বিভিন্নি গ্রামে মাইকিং ও বিভিন্ন অফারে বিক্রি করা হচ্ছে কৃষকের উৎপাদিত সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ। মেহেরপুরের কৃষকরা সুখসাগর পেঁয়াজ চাষ করে লাভ তো দূরের কথা লোকসান গুনতেই হাফিয়ে উঠেছেন।
এলাকার কৃষকরা জানান, প্রতিবছরই সুখ সাগর পেঁয়াজ চাষ করে কমবেশি লাভ হতো। এবার পেঁয়াজের ফলনও হয়েছে ভাল। সেই আশায় এবারও এ এলাকার কৃষকরা সুখসাগর পেঁয়াজের চাষ করে। এবার উৎপাদনের শুরু থেকেই দাম নেই সুখ সাগর পেঁয়াজের। মৌসূমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ২৭০ টাকার বেশি পাওয়া যায়নি। এতে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে শ্রমিকদের যে মজুরিদের দিতে হয় তা ঘর থেকে দিতে হয়। ভাল চাষ হলে বিঘা প্রতি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১২০ মণ, যাতে খরচ হয় ৩২ হাজার ৭৫০ টাকা, বাজারে তা বিক্রয় করতে হচ্ছে ২৭০ টাকা মণ দরে। তাতে বিঘা প্রতি আসে ৩২ হাজার ৪০০ টাকা করে। তাই এলাকার কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে পারছে না সুখসাগর পেঁয়াজ। কৃষকরা আরো জানান, এবার ভারত থেকে আগেই পেঁয়াজ আমদানি করার কারণে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। মেহেরপুর জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়। এর মধ্যে মেহেরপুর-মুজিবনগরের শিবপুর এলাকাতেই প্রায় ৫ হাজার বিঘাতে এবারে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। লোকসানের হাত থেকে কিছুটা বাঁচতে পেঁয়াজের ক্ষেতে কোন কোন কৃষক কলার আবাদ শুরু করেছেন।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান খান বায়েজিদ বলেন, স্থানীয় ফড়িয়াদের কারণে এখানকার কৃষকরা পেঁয়াজের দাম কম পাচ্ছেন। তারা যদি সমন্বিতভাবে নতুন বাজার খুঁজে সেখানে বিক্রয় করে তাহলে ভাল দাম পেতে পারে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, পেঁয়াজের কাঙ্খিত উৎপাদন হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদিত ফসলের মূল্য তুলনামূলক কম হয়। বাজার নিয়ে কৃষি বিভিগের কিছুই করার নেই। পেঁয়াজের চারা বিক্রি করেও ভাল মূল্য পেয়েছেন কৃষকরা। সব মিলিয়ে চাষিদের বেশি লোকসান হবে না বলে দাবি এ কর্মকর্তার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন