শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুবির হলগুলোতে মশার উৎপাত

মেহেদী হাসান, কুবি থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাত হলেই মশার ভয়। কানের কাছে ভনভন করবে, দলবদ্ধভাবে কামড় বসাবে থেমে থেমে। মশার তাড়নায় বেশিক্ষণ টেবিলে বসে পড়া দায়। কয়েল জালালে কমে তবে ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। মশারি ছাড়া ঘুমানো অসম্ভব। এ চিত্র কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা মশার রাজ্যে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা মশার অত্যাচারে অসহায়। দুই পাহাড়ের মাঝে সমতলে অবস্থিত পাঁচতলা বিশিষ্ট হলটিতেই মশার উতপাত বেশি। এতে হলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন, লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। সন্ধ্যা ও রাতে তো বটেই দিনেও মশার কামড় সহ্য করতে হয় তাদের। রাতে বেশি সময় টেবিলে বসে পড়া দুষ্কর। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের তত্তাবধায়ককে সমস্যার কথা বললে সমাধান পাওয়া যায় না। তার অবহেলার কারণে কর্মচারীরা ঠিকমত দায়িত্ব পালন করেনা। ঝাড়ুদার ঠিকমত ঝাড়ু দেয় না, নিয়মিত টয়লেট পরিষ্কার করে না, বেসিন, ডাইনিং কক্ষ, টেলিভিশন কক্ষসহ বারান্দা।
ঠিক একই অবস্থা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম ও একমাত্র ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হল। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল পাহাড়ের ওপরে হওয়ার কারণে অন্যান্য হলের চেয়ে মশার উতপাত কম। মশা নিধনের জন্য প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে জানান এক শিক্ষার্থী। কাজী নজরুল ইসলাম হলের অবস্থা ঠিক বঙ্গবন্ধু হলের মত। পাহাড়ের খাদে হওয়ার কারণে মশার আধিপত্য বেশি। মশার বিস্তৃতি ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ডরমেটরি পর্যন্ত। মশা নিধনের জন্য প্রশাসন থেকে হল গুলোতে সাধারণত কি পদক্ষেপ নেয়া হয় এমন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ও লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন সজিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মশা নিধনের জন্য কোনো ধরনের ঔষধ সরবারহ করা হয় না। তবে হলের আসে-পাশের ঝোপ পরিষ্কার করে রাখা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের অফিসার ডা. মাহমুদ হাসান খান জানান, পাহাড়ি মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়াসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ হতে পারে। মশা সাধারণত নালা, ডোবা, ঝোঁপঝাড়, অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় বংশ বিস্তার করে। কয়েলে মশা নিধন হয় না। বরং কয়েলের ধোয়া পরিবেশ, জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে। মশার উতপত্তিস্থল অপসারণ করতে হবে। ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার করতে হবে। পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে না এমন রাসায়নিক ব্যবহার করে মশা নিধন করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলে আমরা শীঘ্রই মশা নিধনের ব্যবস্থা করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন