গাইবান্ধায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন করে মাথার চুল কাটার অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পলাশবাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সী জানান, মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক মঞ্জুয়ারা বেগম জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা গ্রামের ফেলু মিয়ার স্ত্রী।
ওসি আলম মামলার নথির বরাতে জানান, প্রায় তিন বছর আগে ফেলু মিয়ার ছেলে মোস্তফার সঙ্গে ইতি (২২) নামে এক তরুণীর বিয়ে হয়। প্রথম থেকেই যৌতুকের দাবিতে মোস্তফা ও তার মা-বাবা ইতির ওপর প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এ বিষয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়।
“গত বুধবার রাতে ইতিকে একটি ঘরে আটকে রেখে মারধর করা হয়। পরে তারা তার হাত-পা বেঁধে মাথার চুল কেটে ঘরে বন্দি করে রাখেন। ঘটনার কয়েক দিন পর ইতির মা খবর পান। তিনি মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে মোস্তফা ও তার মা-বাবা তাকে হুমকি-ধমকি দেন।”
খবর পেয়ে শনিবার রাতে পুলিশ গিয়ে ইতিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় বলে জানান ওসি আলম।
তিনি বলেন, ইতির মা থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শাশুড়ি মঞ্জুয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ শ্বশুর ফেলু মিয়া ও স্বামী মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ইতি বলেন, “টাকার জন্য সব সময় ওরা আমাকে মেরেছে। আমার কোনো দোষ নাই। আমি বিচার চাই।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন