সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষ পুলিশের উপস্থিতিতে দেশী অস্ত্রের মহড়া দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমানের অনুসারীরা সালাহ উদ্দিনের অনুসারী ইমাদ উদ্দিনকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের অনুসারীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, কলেজ মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের দুইটি পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকেই সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান তিনি।
চবি সংবাদদাতা জানান, দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের একজন করে আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে দুইজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল ক্যাফেটেরিয়ার পাশে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়ানো দুটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও সিএফসি। দুটি গ্রুপই শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শাহ আমানত হলের সামনে একটি দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে বিজয় গ্রুপের কর্মী কাকনকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের শোয়েবুর রহমান কনক। এ ঘটনা বিজয় গ্রুপের কর্মীরা জানতে পেরে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে শোয়েবুর রহমান কনককে মারধর করে। পরে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে এবং সিএফসি কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সিএফসি গ্রুপের এক কর্মীর মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
আহতরা হলেন শোয়েবুর রহমান কনক ও কাকন। এছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে দুইজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের চবি মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও চবি শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি জামান নূর বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের কক্ষ ভাঙচুর করেছে এবং শিবির স্টাইলে মোটর সাইকেলে আগুন দিয়েছে। এটার বিচার না হলে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব।
অন্যদিকে বিজয় গ্রুপের নেতা ও বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ রকম অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের সিনিয়ররা বসে মিমাংসা করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, হোটেলে বসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন