পুরনো ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের আটদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল (আলামত) সরানো শুরু করা হয়েছে। এসব মালামাল মামলার আলামত হিসেবে পুলিশ হিসেবে নিয়ে জমা রাখা হবে। অন্যদিকে চুড়িহাট্টায় এখনও ভিড় করছে উৎসুক জনতা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে লাগা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনসহ ঘটনাস্থলের বিভীষিকা ঘুরে দেখছেন তারা।
চকবাজার থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এসব মালামাল আলামত হিসেবে থানা হেফাজতে নেয়া হচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তারা বুলডোজার নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে রাস্তায় অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া একাধিক প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ি, অটোরিকশা, কাপড়-চোপড় ও অন্যান্য মালামাল সরানো শুরু করেন। বুলডোজার দিয়ে সেগুলো ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, চুড়িহাট্টা জামে মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় বিপুলসংখ্যক উৎসুক মানুষের ভিড়। সরকারি ছুটি থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশু দুর্ঘটনাস্থল দেখতে ছুটে এসেছেন। কেউবা আবার ঢাকার বাইরে থেকে ঘটনাস্থলটি পরিদর্শনে আসেন।
আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের ছবি তুলছিলেন আসলাম। তিনি বলেন, আজই দেখতে এসেছি। শুনেছি অনেক মানুষ মারা গেছেন, তাই এই ভবনের একটা ছবি তুলে রাখলাম।
চকবাজার থানার ওসি শামীম অর রশিদ তালুকদার বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামলা ‘আলামত’ হিসেবে আমরা সরিয়ে নেবো। কারণ, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুড়ে যাওয়া গাড়ি, মোটরসাইকেল রিকশা, ভ্যান সব আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন