নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, নির্বাচনে অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে এসে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে ৫ম উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা সদর কালিরবাজারে নাহিপতেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম টলস্টয়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এই প্রশিক্ষণ কোর্সে ফুলছড়ি উপজেলার ৪৬টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারসহ মোট ৯৭৮ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেন।
কবিতা খানম আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত আগামী ১৮ তারিখ যেন একটি সফল তারিখ হিসেবে চিহ্নিত হয়। কোনভাবেই যেন তাকে ব্যর্থ হিসেবে পর্যবসিত হতে দেয়া যাবে না। কোন অনিয়ম হলে কোনভাবেই তা মেনে নেয়া হবে না। তিনি বলেন, ভোট মানুষের পবিত্র আমানত তা যেন কোনভাবে খেয়ানত করা না হয় সেদিকে দায়িত্ব প্রাপ্তদের দৃষ্টি রাখতে হবে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি যে কোন মূল্যে সুশৃংখল রাখতে হবে। যাতে ভোটারদের কোন ক্ষতি না হয়।
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা প্রবেশের সাথে সাথে তার দায়িত্ব প্রিজাইডিং অফিসারের। তাকে স্বাধীনভাবে ভোটদানে সুযোগ করে দিতে হবে। কোন কারণে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ভোট বন্ধ করে রিটানির্ং অফিসারকে জানাতে হবে। রিটার্নিং অফিসার প্রয়োজনে আইন শৃৃংখলা বাহিনী, ডিসি ও এসপিকে জানাবেন। নির্বাচন কমিশনকেও তা জানাতে হবে। প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যদের যে ক্ষমতা তা কোনভাবেই অপব্যবহার করা চলবে না। যদি কোন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে তিনি আইনের আওতার বাইরে থাকবেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন