হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দু সম্প্রদায় আশা করেছিলো তাদের উপর নির্যাতন নিপিড়ন হবে না। সংখ্যালঘু নির্যাতন কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কিন্তু গত দুই মাসের মধ্যে সারা দেশে হিন্দু নির্যাতনের শত শত ঘটনা অতিতের সকল রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘরে অগ্নি সংযোগ, হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, অপহরন, নারী নির্যাতন, বাড়ীঘন জমি জমা দখল, দেশ ত্যাগে বাধ্যকরন এর মত একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রশাসন বরাবরের মত নিরব ভ‚মিকা পালন করছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মনববন্ধনে বক্তার এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট তাদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়বালা সাহা, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ বিশ্বাস ও হিন্দু মহিলা মহাজোটের সভানেত্রী প্রীতিলতা বিশ্বাসের বাড়ীতে অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হিন্দু মহাজোটের বরিষ্ঠ সহ সভাপতি ডাঃ এম কে রায়, প্রদীপ পাল, মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, মহিলা মহাজোটের সভাপতি সভানেত্রী প্রীতিলতা বিশ্বাস, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক হরেকৃষ্ণ বারুড়ী, পূর্ণমা শীল, আদিনাথ সরকার, অসিত বালা, সুমন হালদার রবিদাস ফোরাম ঢাকা মহানগরের সভাপতি রামানন্দ দাস, সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার দাস প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ২ মাসে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, কক্সবাজার, ব্রহ্মণবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ, ঝালকাঠী, চাঁদপুর সহ সারাদেশে দুই শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতন নিপিড়নের মাত্রা এত বেড়েছে যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ফলে সাড়া দেশে ব্যপকভাবে হিন্দু সম্প্রদায় দেশত্যাগ করছে। বক্তাগণ বলেন সরকার যদি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ এর আহ্বান জানায়। বক্তাগণ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার ও মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার করে অপরাধীদের ফাঁসী নিশ্চিতের দাবী করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন