রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জাটকা রক্ষায় ডাঙায় নৌকা-জাল

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় অভায়াশ্রম বাস্তবায়ন ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এ কারণে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এবং লক্ষীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার নদী এলাকায় সকল প্রকার জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞার ফলে জেলার নিবন্ধিত ৫১ হাজার জেলে জাল নৌকা দু’মাসের জন্য ঘুটিয়ে ফেলছেন।
গত ২ দিন চাঁদপুর শহরের লঞ্চ টার্মিনাল এলাকার টিলা বাড়ি, তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন, হানারচর ইউনিয়নের হরিনা ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে যে সব জেলে মাছ আহরণ করত, সেসব জেলে মাছ ধরার নৌকা ধুয়ে মুছে ডাঙায় তুলেছেন। তাছাড়া জাল মেরামতের জন্য নদীর পাড়ের সমতল ভূমিতে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালগুলোতে জেলেদের নৌকা এনে জড়ো করে রাখা হয়েছে।
নদী সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে জেলেরা যাতে নদীতে না নামে এবং ইলিশের পোনা জাটকা আহরণ না করে এ জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলেরা জাটকা রক্ষায় দু’মাসের জন্য সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। প্রতিটি জেলে পরিবারকে সরকার ৪০ কেজি পরিমাণ চাল দেবে। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, এবার অভয়াশ্রম বাস্তবায়নের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘কোনো জাল ফেলব না, জাটকা মাছ ধরব না’। তিনি আরো জানান, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যে ইতোমধ্যে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সম্মিলিতভাবে নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে। নিষেধাজ্ঞা সময়ে দিনে-রাতে ৪টি করে টীম নদীতে থাকবে। এ ছাড়া নদীর পাড়ে ১৫টি স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। কোনোভাবেই মাছ ধরা চলবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন