অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের প্রতি দুদকের নোটিশ ও পরে স্বাক্ষর, স্মারক ও তারিখ ছাড়া ২৫ ফর্দে কথিত চিঠির মাধ্যমে তথ্য চাওয়ার বিরুদ্ধে করা রিটের ওপর শুনানি শেষ করেছেন হাইকোর্ট। এ রিটের ওপর আগামী ১০ মার্চ আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আদালতে রিটের শুনানিকাল দুদকের আইনজীবী আদালতকে বলেন, অবৈধ উপায়ে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফুর রহমানকে দেয়া নোটিশটি দুদকের নয়।
এর আগে দুদকের পক্ষে গত বছরের ১১ অক্টোবর এক নোটিশ কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন বিধিমালা, ২০০৭ লতিফুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ট্রান্সকম গ্রুপভুক্ত বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, ভ্যাট ইত্যাদি ফাঁকি দিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং অবৈধ উপায়ে জমি দখলে রাখার বিষয়ে অভিযোগ করে একই বছরের ১৮ অক্টোবর দুদকে হাজির হতে বলা হয়। উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনের নিকট হাজির হতে বলেন। মো. নাসির উদ্দিন নিজেই নোটিশে স্বাক্ষর করেছিলেন। সেই মোতাবেক লতিফুর রহমান হাজিরও হয়েছিলেন। পরে আবার লতিফুর রহমানের কাছে স্বাক্ষর, স্মারক ও তারিখবিহীন ২৫ ফর্দে বিভিন্ন বিষয়ে হিসাব চাওয়া হয়। এরপর এই চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। লতিফুর রহমানের পক্ষে আদালতে খান মো. শাহাদাত হোসেন হলফ করে রিটটি ফাইল করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন