টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় এক সেনা সদস্য নিহত ও কমপক্ষে ৬জন আহত হয়েছে।
নিহত সেনা সদস্যের নাম আজিুজুল ইসলাম (২৮)। সে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ মারামারির ঘটনায় সেনা সদস্য আহত হয়।পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল এগারোটার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আজিজুল ইসলাম বগুড়া ক্যান্টমেন্টে আর্টিলারি কোরে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
অাহতদের তিনজনকে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন দেওভোগ গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে বেলাল মিয়া (৬৫) একই গ্রামের ফিরোজ মোল্লার ছেলে খাইরুল মোল্লা (১৮) আমজাদ মোল্লার ছেলে আকরাম মোল্লা (১৯) রাজ্জাজ মোল্লার ছেলে মেহসীন মোল্লা (২৮) ও রফিক মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা (১৭)।
পুলিশ জানান, বুধবার রাতে দেওভোগ গ্রামের বাকী মোল্লার ছেলে কামরুল ও আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে রাসেলের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় মাতাব্বরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতির শালিশী বৈঠকের কথা বলেন। কিন্ত কামরুল বৈঠকের আগেই রাসেলের উপর হামলা চালিয়প আহত করে।
এদিকে রাসেলের বড় ভাই সেনা সদস্য আজিজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে ছুটিতে বাড়ি এসে এঘটনা জানতে পারেন।
বিরোধ মীমাংসার কথা হওয়ার পরও কেন তার ভাইকে মারা হলো তা জানতে শুক্তবার সকালে আজিজুল তার চাচাদের নিয়ে গ্রামের উত্তরপাড়া রফিক মোল্লার বাড়ির কাছে যান। সেখান একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মারামারি শুরু হলে সেনা সদস্যসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষের ৬ জন আহত হয়।
এদের মধ্যে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে সেনা সদস্য আজিজুলকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ও অপর আহতদের মধ্যে ৩জনকে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল এগারোটার দিকে আজিজুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা জানিয়ে ৫ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিহত সেনা সদস্যের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এদিকে এখনো এ ঘটনায় লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন