শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনকেও কলঙ্কিত করা হলো -বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৯, ১:৫৬ পিএম | আপডেট : ৩:৫০ পিএম, ১১ মার্চ, ২০১৯

২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতের ভোটের সংস্কৃতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বের হতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিশ্বদ্যিালয়ের কর্তৃপক্ষের যাবতীয় আয়োজন ছাত্রলীগকে অবৈধপন্থায় বিজয়ী করার অনুকূলে। গত রাতেও ব্যালট বাক্স ভরানো হয়েছে, যার প্রমাণ পাওয়া গেল আজ কুয়েত মত্রী হলে বস্তাভর্তি সিল মারা ব্যালট। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীসহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা যাতে ভোট দিতে না পারে সেজন্য পুলিশ অবিশ্বাস্য রকমের তৎপরতা শুরু করেছে। সব হলে হলেই ছাত্রলীগের আতঙ্কজনকহারে মহড়া চলছে। এ নির্বাচনের পরিণতি নিয়ে জনমনে সংশয় গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।           
রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের ভাষা, স্বাধীকার,স্বাধীনতা, গণতন্ত্রসহ সকল অধিকার আন্দোলনে ডাকসুর ভুমিকা ছিল অগ্রগামি। আজ ডাকসুর নির্বাচন। দেশে বিদ্যমান নাৎসিবাদী পরিকাঠামোর মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ বছর এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের ভোটের স্মৃতি ডাকসু নির্বাচনেও সাধারণ ছাত্রদেরকে তাড়িত করছে। এ নির্বাচনে সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নাৎসিবাদী গণতন্ত্রের নানারুপ এ ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিফিলিত হয়েছে। 
তিনি বলেন, ঢাবির ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে ১৮টি হলে। সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একাডেমিক ভবনে ভোট কেন্দ্র দাবি করেছিলেন, দাবি করেছিলেন ভোটের সময় বাড়ানোর, স্টিলের ব্যালট বাক্সের বদলে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দাবি করেছিলেন, রাতের ভোটের আতঙ্কে রাতে যেন ব্যালট বাক্স না নেওয়া হয় সে দাবিও প্রার্থীরা করেছিলেন- কিন্তু এসব দাবি নাকচ করা হয়েছে। ১৮টি কেন্দ্রের জন্য টেলিভিশন মাধ্যমের ৪টি ইউনিট ও প্রিন্ট মিডিয়ার ২ জনকে ঢুকতে দেয়া হবে। অর্থাৎ সংবাদ সংগ্রহে কড়াকড়ি বিধি নিষেধ, তথ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। ডিজিটাল বাংলাদেশের উল্লাসে অস্থির ক্ষমতাসীনদের রাজত্বে এখন কি দশা হলো যে মোবাইল ফোনসহ সব ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ আজ নির্বাচনের দিন সব ধরণের অনিয়মের প্রমাণ না রাখা। 
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন  কমপক্ষে ৩৫ জন-যা ডাকসুর ইতিহাসে নজিরবিহীন। ছাত্রলীগের ভয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এ রকম বেশ কিছু প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিরোধী মতের শিক্ষকদের ডাকসু নির্বাচনের কোন দায়িত্বে রাখা হয়নি। গত কয়েক দিনের সাধারণ ছাত্রদের জোর করে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে সাধারণ ছাত্রদের হুমকি দিয়ে হলগুলো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। মানুষের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ডাকসু নির্বাচন সরকারেরই নীতি ও নীলনকশা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হচ্ছে কি না। 
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন