পুলিশ জানায়, ১০ মার্চ রাত ১টা ৫০ মিনিটে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া শিয়াইল্ল্যা পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার শাহ আলমের পুত্র আব্দুর রহমান(২৩) নামে এক মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে।
এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৩ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরি এলজি,৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ,৬ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
একইদিন সকালে হ্নীলা নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইসি কবির হোসেনের নেতৃত্বে খোলা মাঠে পরিত্যক্ত অবস্থায় ই-ব্লকের এমআরসি নং-৭০৩০, শেড নং-৯৪১-এর ২নং রুমের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের পুত্র নুর কবির (৫০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তা জানান- নিহত ব্যক্তির চোখের পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, নিহত ব্যক্তি মাদক কারবারী।
অপরদিকে ১১ মার্চ সকালে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ সিকান্দার আলীর নেতৃত্বে সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে। তিনি জানান- লাশের গায়ে পচন ধরেছে ।
এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান- ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সদস্যরা অভিযানে গেলে মাদক কারবারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করে পুলিশ সদস্যরাও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে এতে এক মাদক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়।
এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৩ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৬ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন নিহত হওয়া লাশ গুলো উদ্ধার করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন