বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প কৌশলী টেন্ডার প্রক্রিয়া মাধ্যমে কার্যত একটি সিন্ডিকেট ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় , ১১ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি টেন্ডার খুবই অল্প প্রচার সংখ্যার বাংলা দৈনিক ও অপরিচিত একটি ইংরেজী দৈনিকে মোট ১৯টি গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডার আহ্বানের ক্ষেত্রে ইজিপি সিস্টেমও ফলো করা হয়নি । ফলে সংস্লিষ্ট সিন্ডিকেটের বাইরে কারো পক্ষেই তা’ জানা সম্ভব হয়নি। এরপর যারা প্রাপ্ত কাজের বিপরীতে ২০শতাংশ হারে নগদ অর্থ সিন্ডিকেটকে দিতে রাজী হয়েছে তাদেরকেই কেবল শিডিউল বিক্রি করা হয়েছে । মার্চের ৪ তারিখে শিডিউল ওপেন করার পরে দেখা গেছে , ১৯টি গ্রুপের বিপরীতে মোট ৫৭টি শিডিউল জমা পড়েছে । যার সোজা অর্থ হল নিয়ম রক্ষার জন্যই কেবল প্রতিটি গ্রুপের বিপরীতে যাকে কাজ দেওয়া হবে তার স্বপক্ষে সাপোর্টিং টেন্ডার জমা করা হয়েছে ।
তবে শিবগঞ্জ পৌর মেয়র মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক ও পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী রাশেদ হাসান টেন্ডার কার্যক্রমে কোন অনিয়ম বা সিন্ডিকেট করার কথা অস্বিকার করে বলেছেন , ডিএফপি অনুমোদিত পত্রিকাতেই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আর ইজিপি টেন্ডারিং বাধ্যতামুলক নয়।
তবে ওই পৌরসভার নিবন্ধিত ঠিকাদারদের মধ্যে যারা টেন্ডারে অংশ নেওয়ার সুযোগই পাননি , তারা বলেছেন , আপডেট টেন্ডার আইন অনুযায়ি সব সরকারি টেন্ডারই ইজিপি করা করতে হয়। আর বহুল প্রচারিত স্থানীয় একটি ও জাতীয় দুটি ( ইংরেজি ১টি ও বাংলা ১টি ) পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাও বাধ্যতামুলক। সেকারনেই তারা ঘোষিত টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে অবিলম্বে রিটেন্ডার করার জন্য স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন