মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মাদারীপুরে শতাধিক জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ ৯ কেন্দ্রের ভোট পুনঃ গণনার দাবি আ’লীগ প্রার্থীর

প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তির নামে শতাধিক জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ উত্থাপন করে ওই ইউনিয়নের ৯ কেন্দ্রের ভোট পুনঃ গণনার দাবি করে সোমবার বিকেলে মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন মিয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মহসিন মিয়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন মো. শাহাদাত হোসেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন ৪ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহসিন মিয়া ৪ হাজার ১৬ পেয়ে ৩১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
মহসিন মিয়ার অভিযোগ, নির্বাচনের দিন তার প্রতিদ্ব›দ্বী মো. শাহাদাত হোসেনের বড় ভাই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এমদাদ হোসেন ছুটিতে এসে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তিনি সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আনারসের পক্ষে বিভিন্ন কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় জাল ভোট দেয়ার কাজে লিপ্ত হন। তিনি এলাকার মৃত ব্যক্তি ও বিদেশে অবস্থানরত ভোটারদের শতাধিক ভোট তাদের নিজস্ব কর্মী দিয়ে জাল ভোট প্রদানে সহায়তা করেন। পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এমদাদ হোসেন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঢুকে নৌকার পক্ষের ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। ভোট গণনার সময় পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এমদাদ হোসেন নির্বাচনে দায়িত্বেরত পুলিশ ও প্রিজাইডিং অফিসারদের যোগসাজশে ঘোড়া প্রতীক, নৌকা প্রতীক ও চশমা প্রতীকের মাঝামাঝি সিল দিয়ে নৌকা মার্কার ব্যালটগুলো বাতিল করার জন্য চাতুরতার আশ্রয় নিয়ে শতাধিক নৌকার ভোট বাতিল করান। ফলে মহসিন মিয়া ৩১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এ কারণে তাকে কৌশলে পরাজিত করা হয়েছে এমন অভিযোগ উত্থাপন করে ৯ কেন্দ্রের ভোট পুনঃ গণনার দাবি করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসরণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন