চট্টগ্রামকে ‘গ্রিন সিটি- ক্লিন সিটি’ হিসেবে সাজানোর অঙ্গীকার দিয়ে সিটি মেয়র নির্বাচিত হন আ জ ম নাছির উদ্দীন। মেয়রের পরিকল্পনায় নান্দনিক রূপ নিতে শুরু করেছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত বন্দরনগরী। ইতোমধ্যে নগরীর কেন্দ্রস্থলে কাজীর দেউড়ী নেভাল এভিনিউ আউটার স্টেডিয়ামের চারপাশে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আগামীকাল শনিবার রাত ৮টায় নাগরিকদের চিত্তবিনোদনে নান্দনিক সৌন্দর্যের উদ্বোধন করবেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে ছিল অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের অবাধ বিচরণস্থল। ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করে থাকতো এখানে। যে কারণে এ সড়কে নাগরিকদের দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হতো। তাই সিটি কর্পোরেশন এ জায়গাটি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফিউশন ডিজাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী ডিজাইনার লায়ন এম এ হোসেন বাদলের সাথে নবায়নযোগ্য পাঁচ বছরের চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ফিউশন ডিজাইনার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় প্রকল্প কাজ শেষ করে এ এলাকাটির নান্দনিক সৌন্দর্যে রূপ দেয়। এতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে ফিউশন ডিজাইনার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের।
এ স্থানের ফুটপাতে নাগরিকদের হাঁটার জন্য দুই লেনের বোডিং টাইলস বসানো হয়েছে। ফুটপাতের ওয়াকওয়ের মাঝখানে ছোট ছোট দৃষ্টিনন্দন বাগান করে সবুজায়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকারের ফুলের বাগান, আলোকায়ন, তিনটি ফুড জোন, অত্যাধুনিক দুটি পাবলিক টয়লেট, একটি বাস-বে, একটি যাত্রী ছাউনি, দুইটি সিএনজি-বে ও দুইটি মোটর সাইকেল-বে রয়েছে এ সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে। এছাড়া অবসর বিনোদনে লোকদের বসার জন্য বেশকিছু ঢালাই বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৪শ’ লোক বসতে পারবে।
ইট-পাথরের ব্যস্ত ও কর্মক্লান্ত নগরজীবনে নাগরিকদের কিছুটা হলেও অবসর ও চিত্ত বিনোদনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বন্দরনগরীতে এমনিতেই মানুষের চিত্ত বিনোদনে জায়গা সংকুচিত হয়ে গেছে। নান্দনিক এই প্রকল্পে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রাফিক পুলিশ বক্সও স্থাপন করা হয়েছে। এখানে যে তিনটি ফুড জোন, দুটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে তা থেকে যে আয় হবে তা ফিউশন ডিজাইনার পাবে। এ প্রতিষ্ঠানটি সিটি কর্পোরেশনকে প্রতিবছর নির্দিষ্টহারে কর দেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন