শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মশক নিধনে চলছে কেসিসির ক্র্যাশ প্রোগ্রাম

ওষুধ ছিটানোর ১৫ মিনিট পর উড়ছে মশা!

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৯, ২:৩৮ পিএম

মশা নিধনে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। অভিযানের শুরুতেই সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ মশা মারার ওষুধ ছিটানোর ১৫ মিনিট পরও সেখানে মশা উড়ছে। অথচ ওষুধ ছড়ানোর ৫ মিনিটের মধ্যেই মশা মরে যাওয়ার কথা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য ক্রাশ প্রোগ্রামের সফলতাকে প্রশ্নের মুখে রেখেছে। তবে করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, নগরীতে মশক নিধনে আওতায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেসিসি। এ কর্মপরিকল্পনার আওতায় আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ৩০টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ৩০টি ওয়ার্ডে মশক নিধন করা হবে।
এ অবস্থায় কেসিসির চলমান অভিযান নিয়ে শুরুতেই নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে সমালোচনা।
নগরীর গোবরচাকা এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেনের অভিযোগ, ‘মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর ১০-১৫ মিনিট পরও মশা উড়তে দেখা গেছে। ফগার মেশিনের ওষুধ দেওয়ার পর ৫ মিনিটেই মশা মারা যাওয়ার কথা। এই ওষুধ কতটুকু কার্যকর তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।’
আব্দুল্লাহ জোবায়ের নামে একজন বলেন,‘অসময়ের বৃষ্টিতে ড্রেনে রয়েছে ময়লার স্তূপ। এগুলো না সরিয়ে তার মধ্যেই মশা মারার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। আর সেখানে তারপরও মশা মরছে না। যা রীতিমত হাস্যকর বিষয়।’
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রসঙ্গে কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ওষুধ ছিটানোর ২-৩ মিনিটের মধ্যেই মশা মারা যায়। যে জায়গায় ওষুধ দেওয়া হয় সে জায়গায় ১৫ মিনিট পরও মশা উড়তে পারবে না। হয়তো লোকজন আশেপাশের অন্য জায়গার মশা উড়তে দেখেছে।’
এইচএম শাহরিয়ার তার ফেইজবুকে মন্তব্য করেছেন, কিছুই হবে না। বরং বাইরে মশা তাড়িয়ে ঘরে দিয়ে যাচ্ছে। ফগার মেশিন নিয়ে যারা ধোঁয়া দিতে আসে তাদের শত অনুরোধ করে বাড়ির পেছনে আশেপাশে ঝোপঝাড়ে ওষুধ দেওয়ার কথা বললেও কাজ হচ্ছে না। সাফ জানিয়ে দেয় অনুমতি বা বরাদ্দ নেই। অথচ সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত মাশুল দিয়ে যাচ্ছি এবং যথেষ্ট বরাদ্দ দিয়ে থাকে সাধারণ জনগণ। তাহলে মাঠপর্যায়ে এ সব দুর্নীতির প্রতিকার কি বা সমাধানের ভূমিকা কারা নিবে?
জিএম মুজাহিদুল ইসলাম তার ফেইজবুকে বলেছেন, এগুলো শুধু গর্জন, কাজে কিছু নেই। সহকারী কনজারভেন্সী অফিসার মারুফ রশিদের ফেইজবুক পেইজে মশক নিধনের প্রচারণার উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন তিনি।
তবে মারুফ রশিদ ওই কথার উত্তরে বলেন, কেসিসি সাধ্যমত করছে। আমাদের নগরবাসীরও এই সাথে কিছু দায়িত্ব আছে। আমাদের চারপাশে নিজেদের ও প্রতিবেশীদের অনেক ঝোপঝাড়, নর্দমার মত ডোবা, ড্রেনে সরাসরি ময়লা ফেলা এগুলোর জন্য মশা বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটু সচেতন হলে ও নিজেদের আঙিনা নিজেরা পরিচ্ছন্ন রাখলে মশার উপদ্রব অনেকটা কমবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন