শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজশাহীর ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

কোন কারণ ছাড়াই রাজশাহীর বাজারে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। মাছ, মাংস, মুরগি, ডিম আর সব ধরণের শাকসবজির দাম চড়া। একমাস ধরেই দাম বেড়ে চলেছে। কেন বাড়ছে তার কোন উত্তর মেলেনি কোথাও। রাজশাহীর সিটি হাট থেকেই প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক গরু, মহিষ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। কিন্তু সেই রাজশাহীতেই গত দুই সপ্তাহে মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মাছ উৎপাদনে উদ্বৃত্ত এলাকা রাজশাহী। এখান থেকে প্রতিদিন ট্রাক বোঝাই হয়ে শতশত মণ মাছ ঢাকা সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

রাজশাহী থেকে শাকসবজির চালান যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। সেই শাকসবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গত সপ্তাহেও বাজারে উঠা নতুন সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহে ঘুরে দামের খুব একটা হেরফের হয়নি। বেড়েছে আদা-রসুনের দামও। সবমিলিয়ে রাজশাহীর কাঁচাবাজার উর্ধ্বমূখী। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫২০-৫৩০ টাকা দরে। এছাড়াও খাসির মাংস ৭২০-৭৫০ টাকা, বয়লার ১৪৫-১৫০ টাকা, লেয়ার ১৭৫-১৮৫ টাকা, হাঁস ৩০০ টাকা, সোনালী ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৪০-৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবধরনের সবজিই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সজিনা ডাটা ৯০-১০০ টাকা, ঢেড়স প্রতিকেজি ৬০-৮০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা ও পেঁয়াজ ২০-২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেইসঙ্গে দাম বেড়ে রকমভেদে প্রতিকেজি আদা ১২০-১৬০ টাকা ও রসুন ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও বাজারে প্রায় সব ধরনের শাক বিক্রি হয়েছে ২০-৩০ টাকা দরে। ডিম লাল প্রতি হালি ৩৬ টাকা আর সাদা ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আলু প্রতি কেজি ১২ টাকা, সিম ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০-৩০ টাকা, শশা ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, টমেটো ১৫-৪০ টাকা, গাজর ১৫-২০ টাকা, বাধাকপি প্রতি পিস ১০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

ডালের মধ্যে বুট ডাল ৮০ টাকা, দেশি বুট ১০০ টাকা, এ্যাংকর ডাল ৪০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা, দেশি মসুর ৮০ টাকা ও খেসারী ডাল ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে রকমভেদে দাম উঠানামা করতে দেখা গেছে। বাজারে রকমভেদে সিলভার কার্প ১০০-১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০-১৭০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৫০০-১০০০ টাকা, বাটা ১২০-১৪০ টাকা, বড় শোল ৯০০ টাকা ও ছোট শোল ২০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও রুইয়ের ওজনভেদে প্রতি কেজি ১৮০-৩৫০ টাকা, ইলিশ ৫০০-৯০০ টাকা, কাতল ২৮০-৪০০ টাকা, কালবাউশ ২৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০-৮০০ টাকা, আইড় ৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও চালের বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৫৫ টাকা, আটাশ ৪২ টাকা, জিরাশাল ৫৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৭৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৫ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৩৫ টাকা, কালজিরা আতপ ৮০-৯০ টাকা, চিনিগুড়া আতপ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজার মনিটরিং দপ্তর নামে একটি সরকারী দপ্তর থাকলেও তারা শুধুমাত্র বাজার দর জেনে ঢাকায় প্রেরণ করে থাকেন। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন