সবুজ পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর রূপসী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকোপার্ক। পাশাপাশি লুসাইকন্যা কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুঁটে আসছেন এখানে। বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। নদী ও পাহাড়ের কোলে প্রিয়জনদের নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠছেন পর্যটকরা।
আবহাওয়া ও পরিবেশ ভাল থাকায় গত বছরের চেয়ে এ বছর পর্যটকদের আগমন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পিকনিক স্পট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পার্কের কর্মচারী সমিতির কার্যকরী কমিটির সম্পাদক মন্ডলির সদস্য মো. হাসিপ ও সমিতির উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফোরকান জানান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শেষ সীমান্তে চন্দ্রঘোনা-হোছনাবাদ ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক। সুবিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্ক। কিচির মিচির নানান জাতের পাখির শব্দে পার্ক এলাকা মুখরিত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব পর্যটকেরা আসেন তাদেরকে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
রকি ও আজমা জানান, পাহাড় বেষ্টিত কৃত্রিম হ্রদের উপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রায় এক কিলোমিটার ক্যাবল কার। ক্যাবল কারে চড়ে অনায়াসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারছেন ট্যুরিস্টরা। তবে ত্রæটি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ক্যাবল কার সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার পরে এখন পুরোদমে চলছে। ইকোপার্কের অন্যতম আকর্ষণ লোহার ব্রিজ বেয়ে কৃত্রিম দ্বীপের চারপাশের পানি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।
ফরিদপুর থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ রাসেল এভিয়ারী পার্কের কয়েক কিলোমিটার পরেই রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবস্থিত চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশে কাপ্তাই ওয়া¹া বিজিবি ক্যাম্পের পাশে গড়ে উঠেছে প্যানোরমা ঝুম রেস্তোরা। কর্ণফুলী নদীর তীরে সুবিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রটি।
গৃহবধু শাহীন আক্তার বলেন, গাছের উপর মাচাং। খুব সুন্দর দৃশ্য। অনায়াসে সেখানে প্রিয়জনকে নিয়ে অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারছেন। পাহাড়ের কোলে বসার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। নদীর ধারে পাথরের উপর প্রাকৃতিক দৃশ্য ক্যামরাবন্দি করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে আলাদা বিনোদন কেন্দ্র। রয়েছে ষ্পেশাল চা, কপি ও বিভিন্ন আইটেমের সু-স্বাধু খাবার। প্রকৃৃতির সাথে একাকার হতে এটি সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। রয়েছে থাকার ব্যবস্থা। বিনোদন প্রেমীদের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় রয়েছে বিজিবি’র নিজস্ব র্ফোস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন