সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কাপ্তাইয়ে নির্বিচারে আগর গাছ ধ্বংস

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

কাপ্তাইয়ে আগর চাষিদের নির্বিচারে গাছ ধবংস করায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। বন বিভাগীয় কর্মকর্তা আগর বাগান পরিদর্শন করেছেন।
পার্বত্য চটগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জের বিভিন্ন বন বিটে দুস্থ, অসহায়, নদী ভাঙ্গা লোকজন অংশীদার ভিত্তিতে বন বিভাগের সাথে ১৫ বছরব্যাপী আগর চাষ করে আসছে। ২০০৭-হতে ২০০৮ সালে এ কার্যক্রমে কাপ্তাই রেঞ্জের বিভিন্ন বিটে চারা রোপন করা হয়। প্রায় ১৩ বছর হলো এক একটি আগর গাছের বয়স। আর মাত্র ২/৩ বছর পরই এ আগর গাছ পরিপূর্ণ হয়ে উৎপাদনে যাব্ েচাষীরা সেই স্বপ্ন দেখছিলেন। চাষীরা অভিযোগ করেন, এক একটি গাছ বড় করতে তাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।
যখন গাছগুলো বড় হয়েছে এবং অচিরেই উৎপাদনে যাবে এমনি সময়ে এক শ্রেণীর দুর্বৃত্ত নির্বিচারে আগরগাছ কেটে ফেলেছে। আগর চাষীরা অভিযোগ করেন, কাপ্তাই রেঞ্জের কামিলাছড়ি বনবিটে গত কয়েক দিন যাবত ৪/৫ দুর্বৃত্ত আগর চাষীদের প্রায় ৪শ‘ আগর গাছ কেটে বাগানে ফেলে রেখেছে। কাপ্তাইয়ে আগর চাষী, জাহাঙ্গীর, সজল, শাহ আলম বাবুসহ অনেকেই অভিযোগ করে ক্ষতিপুরন দাবিসহ অপরাধীদের বিচার চাইছেন। এদিকে আগর চাষি সমিতির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল বলেন, বন বিভাগ আমাদের বিরোধপূর্ণ জায়গা বরাদ্দ দেয়ায় আজ এ পরিনতি। তিনি চাষীদের ক্ষতিপুরনের দাবি জানান।
আগর চাষিদের মধ্যে এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিনিয়ত তারা বাগান পরিদর্শন করছেন এবং এর খোঁজ খবর নিচ্ছেন। অন্য চাষিরা যেসব গাছ কাটা হয়নি, এখনো জীবিত আছে তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) তৌফিকুল ইসলাম শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত আগর চাষীদের বাগান পরিদর্শন করেন এবং তাদের শান্তনা দেন। এছাড়া তিনি চাষিদের সাথে করনীয় বিষয় নিয়ে দ্রুত আলোচনা করবেন বলে উল্লেখ করেন। এদিকে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন