শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নদী তীর দখলমুক্ত করতে অভিযান শক্তিশালি করা হবে

বিশ্ব পানি দিবসের আলোচনা সভায় নৌসচিব

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

নদী তীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান আরো শক্তিশালি করা হবে। উচ্ছেদকৃত নদী তীর যাতে পুনরায় দখল না হয় সেজন্য সেখানে বনায়ন এবং শক্ত মজবুত সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হবে। নদী তীর দখলমুক্তের পাশাপাশি নদীর দূষনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো, আবদুস সামাদ।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে দৈনিক জনতা ও প্রিমিয়ার নিউজ সিন্ডিকেট লিমিটেড (পিএনএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। পিএনএস’র প্রধান সম্পাদক মো, শাহাবুদ্দিন শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক জনতার প্রকাশক ছৈয়দ আনওয়ার, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ওয়ারপো’র সাবেক মহাপরিচালক ম. ইনামুল হক এবং বুয়েটের পানি, বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুজিত কুমার বালা।
সচিব বলেন, যে সমস্ত উৎস মুখ দিয়ে নদীর পানি দূষিত হয় সেসব উৎস মুখ বন্ধ করা হবে। শিল্প কারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি যাতে নদীতে না পড়ে সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরো কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর তলদেশের বর্জ্য উত্তোলন ও নদীর পানি দুর্গন্ধমুক্ত করতে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকার সার্কুলার নৌপথকে দুর্গন্ধমুক্ত করে পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। নদী আমাদের প্রাণ, নদী আমাদের মায়ের মতো। নদীকে টিকিয়ে রাখতে না পারলে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। নদীর তীরে শহর গড়ে উঠেছে। নদীর পানি কৃষি, মৎস্য চাষ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সভ্যতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আবদুস সামাদ বলেন, নদী, নদীর তীরভূমি রক্ষা এবং নদীর গতি প্রবাহ ঠিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যলেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার বাজেটে বরাদ্দ দিচ্ছেন । নদীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর যেমন দরদ ছিল, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী রক্ষায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ি ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে পানি সম্পদ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী ‘ডেল্টা প্লান-২১০০’ ঘোষণা করেছেন। ডেল্টা প্লান অনুযায়ি নদী, খাল, বিল ও পুকুর খনন করে সেখানে জলাধার সৃষ্টি করতে হবে। জলাধারে বন্যা, বৃষ্টি ও ঝর্ণার পানি সংরক্ষণ করে সেপানি শুষ্ক মৌসুমে কাজে লাগানো হবে। তিনি আরো বলেন, নদীগুলোকে পরিস্কার করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নদী রক্ষায় যারা সহায়তা করবে তাদের জন্য ‘জাতীয় নদী রক্ষা পুরস্কারের’ ব্যবস্থা থাকবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন