শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ওআইসি সভায় সন্ত্রাস প্রতিরোধের আহ্বান ভূমিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

শিক্ষা,সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং আইনি মাধ্যমে বিপজ্জনক ইসলাম-বিদ্বেষ এবং ইসলাম-ভীতির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তুরস্কে শুক্রবার অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিয়ে এ দাবি তোলেন ভূমিমন্ত্রী। গতকাল শনিবার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান এবং নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি জাতিসংঘের ছায়াতলে ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেন।
ওআইসির সভা শুরুর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বক্তব্য প্রদান করতে গিয়েও সন্ত্রাসবাদের বিপদ মোকাবেলা, ইসলাম-ভীতি এবং অমুসলিম দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা মোকাবেলায় সমষ্টিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব ধর্ম, বর্ণ এবং বিশ্বাসের সহাবস্থানের বিধান রেখে দেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন। সভায় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের সন্ত্রাস এবং সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে আসছে। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে এবং দেখাশোনা করছে। নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের অবিলম্বে সহায়তা প্রদান এবং মর্যাদা প্রদর্শনের জন্য নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রশংসা করেন ভূমিমন্ত্রী। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ, ইসলাম-বিদ্বেষ এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার ইশতেহার গ্রহণের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি সভাটি শেষ হয়। গত ২১ মার্চ বিকেলে ওআইসি রাষ্ট্রসমূহের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে ইশতেহারটি চূড়ান্ত হয়।
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থা উইংয়ের মহাপরিচালক এএফএম গাউসুল আজম সরকার, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী, সৌদি আরবের রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান এবং ওআইসিতে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. নজরুল ইসলাম, ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার পলিটিক্যাল রইস হাসান সরোয়ার। ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল ওথাইমেন সভায় উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটারসও সভায় উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য একটি সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে আহ্বান করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ গুরুত্বপূর্ণ সভায় ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ম নাছির উদ্দীন শাহ ২৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্টির গনহত্যা ভয়াবহ নির্যাতনে ক্ষত বিক্ষত দিশা হীন আশ্রয়হীন লক্ষ লক্ষ মানুষ কে মানব দরদী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব দরবারে মানবতার মা নামে সম্মানীত হলেন। বিশ্বে শান্তির পক্ষে নোবেল পাওয়ার কাজ। দক্ষিন এশিয়ার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ধর্মের নামে মৌলবাদ ইস্পাত কঠিন হস্তক্ষেপে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তাই বিশ্ব দরবারে প্রভাব শালী নেতা। বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শুরু হলো। বিস্ব দরবারে ওআইসি শক্তিশালী সংগঠন। দক্ষ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা করে। ইসলাম মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে ইহুদী কৃষ্টান নাস্তিক দের গভীর ষড়যন্ত্রের নিল নকশা প্রকাশ করতে ওআইসি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। বিশ্বের মানুষকে বুঝাতে হবে আই এস আল কায়দা যে কোন ধর্মীয় উগ্রবাদীর সাথে ইসলামের সম্পর্ক নাই। ইসলাম। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা {সাঃ} আদশ্য পবিত্র কোরআন সুন্না পরিপন্থী কোন কাজ সংগঠিত হলে। ওআইসি দুশো কোটির অধিক মুসলিম সমাজের পক্ষে মুখ পাত্রের ভূমিকা গ্রহন করে বিশ্ব বাসী জানাবেন। গুটিকয়েক উগ্রবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় আমরা সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমান নেব না। আমরা শান্তি চাই।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন