মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মির্জাপুরে ইউএনও সহায়তা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করলেন কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ৭:৫৪ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ইউএনও সহায়তায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেছেন কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা।
সোমবার দুপুরে উপজেলার বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর মঙ্গলবার বিয়ের দিন নির্ধারন করে গায়ে হলুদ দেয়া হচ্ছে বলে জানতে পারেন কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা। বিষয়টি তারা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনকে জানান। অধ্যক্ষের পরামর্শে কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা ওই ছাত্রীর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে গিয়ে হাজির হন। তারা বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য মেয়ের বাবা-মা কে অনুরোধ করেন। কিন্ত ছাত্রীর অভিভাবক তাদের কথা অগ্রাহ্য করে বিয়ের প্রস্তুতি অব্যহত রাখেন। পরে কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা ঘটনাটি মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেককে অবহিত করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে মেয়ের বাবা-মাসহ মেয়েকে তার অফিসে নিয়ে আসেন। সেখানে ইউএনও আব্দুল মালেক বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে ছাত্রীর বাবা-মাকে অবগত করেন। পরে মেয়ের বাবা-মা আঠারো বছরের আগে মেয়ের বিয়ে না দেয়ার জন্য মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের কিশোরী ক্লাবের সদস্য নবম শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া, মমতা, বৃষ্টি, দশম শ্রেণির ছাত্রী খাদেজা ও মীম জানান, মির্জাপুরের সাবেক ইউএনও ইসরাত সাদমীন তাদের কিশোরী ক্লাব গঠন করে দিয়েছিলেন। তারাা বাল্যবিবাহ বন্ধে ভূমিকা রাখাসহ নারী উন্নয়নে কাজ করে থাকেন বলে জানান।
মির্জাপুরের ইউএনও আব্দুল মালেক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে বন্ধের কথা স্বীকার করে বলেন বরকে ধরতে পুলিশ পাঠালে সে পালিয়ে গেছে। ওই মেয়ের বাবা-মা আঠারো বছরের আগে তাদের মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন