স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুই দেশের সৌহার্দ্য যাত্রায় মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার স্লোগান নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সাইকেল র্যালি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ভারতের পক্ষে ১৭ সদস্যের এই সাইকেল র্যালিটি কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্টে পৌঁছায়। র্যালিটি ঢাকা গিয়ে শেষ হবে। যৌথ র্যালির সদস্যরা চলার পথে বিভিন্ন স্কুল ও বাজার এলাকায় পথসভা করে মাদক পরিহারে মানুষকে সচেতন করবেন। ভারতীয় টিম লিডার মিহির দাসের নেতৃত্বে সাইকেল র্যালিতে রয়েছেন ১২ জন ও শাহারিয়া পান্নার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আছেন ৫ জন সদস্য।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ৫ সদস্য একই স্লোগানে সাইকেল র্যালি নিয়ে ভারতের কলকাতায় যান। পরে তারা কলকাতা ফুটবল লাভারস অ্যাসোসিয়েশনের ১২ জন আমন্ত্রিত সদস্যকে সাথে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন। অর্থনৈতিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের নাভারণ পুরাতন বাজারে ব্যাটারী চালিত ইঞ্জিনভ্যান চালকরা ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তির মধ্যে পড়ে বেনাপোল বন্দরের শত শত পণ্য বোঝায় ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন ভ্যান শ্রমিকরা।
সরেজমিনে জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে লাগাতার ব্যাটারী চালিত ইঞ্জিনভ্যান আটক করে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ। গরীব ভ্যান শ্রমিকদের ভ্যান জব্দ করে ৫শত টাকা করে নিয়ে কেস স্লিপ ধরিয়ে দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। কেস মিটিয়ে গরীব শ্রমিকরা তাদের একমাত্র অবলম্বন ভ্যান গাড়িটি ছাড়িয়ে আনার কয়েকদিন না যেতেই আবারো তাদের ভ্যান গাড়িটিকে জব্দ করে কেস দেওয়া হচ্ছে।
এভাবে একের পর এক গরীব ভ্যান শ্রমিকদের আর্থিক ও মানষিকভাবে হয়রানি করার কারনে এলাকার সমস্ত ভ্যান শ্রমিকরা একজোট হয়ে ব্যাটারী চালিত ইঞ্জিনভ্যান নিয়ে সড়কে নেমে পড়েন এবং হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ পলিটন মিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা অবিলম্বে পলিটন মিয়ার শাস্তির দাবি জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান ও তরিকুল ইসলাম মিলনের মধ্যস্থতায় সন্ধ্যা ৬টার সময় আটককৃত ৫টি ব্যাটারী চালিত ইঞ্জিনভ্যান ছেড়ে দেওয়া ও পরবর্তীতে ভ্যান চালকদের আর অযথা হয়রানি না করার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন