স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখতে বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে রাশিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল অ্যাসেম্বলির স্পিকার ও ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অব দ্য কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেনডেন্ট স্ট্যাট-এর চেয়ারপারসন ভ্যালেনটিনা ম্যাটভিয়েনকোর সঙ্গে বৈঠককালে স্পিকার এ কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়ার সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখতে বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে রাশিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস ও বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদা পূরণে রাশিয়ার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র বর্তমানে অনেক স¤প্রসারিত হয়েছে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার ও গ্যাস উত্তোলনে রাশিয়ার সহযোগিতা বৃদ্ধির আহŸান জানান। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ায় শিক্ষাবৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধিরও আহŸান জানান।
পরপর দু’বার বাংলাদেশের সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার ভ্যালেনটিনা ম্যাটভিয়েনকো।
রাশিয়ার স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরের মাধ্যমে দু’দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, পূর্বের তুলনায় তা বর্তমানে ৬১ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আর্থিক দিক থেকে তা এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে রাশিয়ার আরো বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। এ জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সফরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, এমপি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন