বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানী এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে নিহত হয় তানজিলা মৌলি মিথি (২২)। বগুড়ার সান্তাহার পৌর এলাকার বশিপুর গ্রামের এ্যাড. মাসদুর রহমান ও মাতা ইয়াছমিনের একমাত্র মেয়ে। শুক্রবার সকালে এ্যা¤ু^লেন্সযোগে গ্রামের বাড়িতে তার লাশ এসে পৌঁছালে পরিবারসহ প্রতিবেশির মধ্যে চলছে শোকের মাতম। মেয়ের শোকে তার মা ইয়াছিমন বেগম বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। মাত্র ৮মাস আগে মিথির বিয়ে হয় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে।
স্বামী রায়হানুল ইসলাম ইমন ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সে চাকুরী করেন। বিয়ের পর থেকে মিথি স্বামীর ঢাকার মিরপুরে বসবাস করতেন। মিথি নিজেও গ্রামীণ ফোনের কাস্টমার কেয়ারে চাকুরী করতেন। গত ৩ মাস আগে তিনি চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ট্যুরিজাম কোম্পানিতে চাকুরী নিয়ে এফ আর টাওয়ারের ১০ তালায় প্রতিদিন অফিস করতেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পর তিনি স্বামীকে মোবাইল ফোনে তা জানান। স্বামী ইমন তাকে ছাদে উঠে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর বাবাকেও আগুনের কথা জানান। এর পর আর কারোও সাথে কথা হয়নি।
এদিন সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে তার স্বামী ও স্বজনরা হাতের আংটি, কানের দুলও ভ্যানিটি ব্যাগ দেখে লাশ সনাক্ত করেন।
শুক্রবার সকালে এ্যা¤ু^লেন্সযোগে গ্রামের বাড়ীতে তার লাশ এসে পৌঁছালে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। স্বজনদের কান্নােেদখে লাশ দেখতে আসা অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
শুক্রবার বাদ জুম্মা স্থানীয় বাবলুর চাতাল মিলে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দ্ফন করা হয়।
এছাড়াও একই টাওয়ারেরে ২১ তালায় অগ্নিকান্ডে নিহত হয় সান্তাহার শহর পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়ো গ্রামের মৃত মনসুর আলী মন্ডলের ছেলে ও সান্তাহার শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহম্মেদ আলী স্বপনের মামাত ভাই মঞ্জরুল হাসান মাইকেল (৪৭)। তিনি কাসেম গ্রুপে চাকুরী করতেন। তার নিহত হওয়ার খবর গ্রামের বাড়ীতে পৌঁছালে তার মৃত্যুশোকে কাতর হয়ে পরেন অত্বীয়স্বজনরা। তার পারিবরিক সুত্রে জানা যায়, তাকে ঢাকায় দাফন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন