নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে নাটোরের লালপুরে ঐতিহাসিক ময়না যুদ্ধ দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে (৩০ মার্চ) শনিবার সকাল সাড়ে ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও এলাকাবাসীকে নিয়ে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল উপজেলার ওয়ালিয়া ইউপির ময়না গ্রামে স্থাপিত স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে জাতীয়, দলীয়, কালো পতাকা উত্তোলন ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনপূর্বক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিটি নীরবতা পালন, সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে ওয়ালিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের আয়োজনে ও ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর -১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, নাটোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রউফ সরকার, নাটোর জেলা আ.লীগের সদস্য উপাধ্যক্ষ বাবুল আক্তার, ওয়ালিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও এলাকার সুধিজনেরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে উপজেলার ময়না গ্রামে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সাথে লালপুর উপজেলার মুক্তিকামী জনতা, ইপিয়ার ও আনসার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে হানাদারদের ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস হয় এবং পাকবাহীনির প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরের দিন ৩১ মার্চ লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ময়না যুদ্ধে প্রায় অর্ধশত বাঙ্গালী শহীদ ও ৩২ জন আহত হন। সেই থেকে দিবসটিকে ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস হিসাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পালন করে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন