সৎ মা ও নানীর নির্যাতনে শিশুটির সারা শরীর দগ্ধ। হাত, পা ঘারসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত। শরীরের কয়েকটি স্থানে ধরেছে ঘাঁ। মাথার ছাদ হারাবার ভয়ে বাবাকে সে কিছুই বলতো না। কিন্তু স্থানীয় এক মানবাধিকার কর্মী ও পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটি এখন রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া নিচ্ছে।
ওই শিশুটির নাম সেতু আক্তার (১০)। সেতু মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের পান্থাপাড়া গ্রামে রিয়াজ শিকদারের মেয়ে ও কালামৃধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। সেতুর বাবা রিয়াজ শিকদার ঢাকায় ভাঙ্গারীর ব্যবসা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৯ বছর আগে শিশু সেতুর মা রেহানা বেগম মারা যায়। সেতুর মা জীবিত থাকতেই তার বাবা সাবিনা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে সৎ মা সাবিনা বেগম কোন ভাবেই নিজের মেয়ে বলে সেতুকে মেনে নিতে পারছিল না। অনেকবার সেতুকে চলে যেতে বলে এমনকি মারধর করতে থাকে। গত এক বছর ধরে সৎ নানীর প্ররোচনায় সেতুর উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুন। গত ২৪ মার্চ সেতু এক গ্লাস দুধ খেতে চাওয়া, সৎ মা আর নানী মিলে গরম খুন্তি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানের ছ্যাঁকা দেয়। যন্ত্রনায় সেতু চিৎকার করলেও আরো বেশি কষ্ট দিয়ে। সেতুর এই নির্মম নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারে স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী মমতা খাতুন। রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন বলেন, মেয়েটিকে এখন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেয়েটি যদি চায় তবে আমরা তার পুনর্বাসনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন