দীর্ঘ ২০ বছর পর আবার আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন প্রায় ৬ শতাধিক চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীরা। এবার পাবনা সহ ১৫টি জেলায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, অপহরণ ও খুন-খারাপিতে লিপ্ত চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৯ এপ্রিল পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম মাঠে ৬ শতাধিক চরমপন্থি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের নিকট আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ গ্রহণ করবেন। আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিদের আর্থিক প্রণোদনাসহ পুনর্বাসন করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত : ২০ বছর আগে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নিকট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ৪ শতাধিক চরমপন্থি আত্মসমর্পণ করে ছিলন। সেই সময় তাদের আনসার বাহিনীতে বিশেষ আনসার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পুনর্বাসিত করা হয়। এবারও চরমপন্থিদের আর্থিক প্রণোদনাসহ পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সুত্র জানায়, বিএপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজশাহী অঞ্চলের চরমপন্থিদের দমনে ২০০৪ সালের দিকে বাংলাভাই, শায়খ আবদুুর রহমানের জঙ্গি বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়। এরপর তারাই একের পর এক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। পরবর্তীকালে শায়খ আবদুর রহমান, বাংলাভাইয়ের জঙ্গি দল জেএমবি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে বোমা হামলা চালায়। পরে তাদের দমনে সরকারকে বিশেষ অভিযান চালাতে হয়।
আগামী ৯ এপ্রিল ১৫টি জেলার চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান সমন্বয় করছেন পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম,পিপিএম। তিনি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এখনো পূর্ববাংলা কমিনিস্ট পার্টি, পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি, পূর্ববাংলা লাল পতাকাসহ বিভিন্ন চরমপন্থি সংগঠন তৎপর রয়েছে। তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, হত্যা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ এবং নিজেদের দলীয় গ্রুপিং -এ খুনোখুনিতে লিপ্ত। আইন শৃংখলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানেও চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের তৎপরতা পুরোপুরি থামছে না। যে কারণে সরকার তাদের অন্ধকার জগত থেকে আলোতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন