মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবলীগ নেতার মৃত্যু

সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৯, ২:২৮ পিএম

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মারপিটের পাঁচদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ সানা (৪২)।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) খুলনার ফরটিজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
তৌহিদ সানা আশাশুনির বড়দল গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক সানার ছেলে।
এদিকে, এ ঘটনায় তৌহিদ সানার বোন রিনা রহমান ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, তৌহিদ সানার বিরুদ্ধে ২২টি মাদক মামলা ছিল। সম্প্রতি জেল থেকে বাড়ি ফেরার দিনে মিষ্টি খাবার কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশি পরিচিতজনেরা। আর তারাই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার মাত্র পাঁচদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।
বৃহস্পতিবার রাতে খুলনার ফরটিজ হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামে নিয়ে আসা হয় তার মৃতদেহ। এ সময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। পুলিশ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদ সানার বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদক মামলা হয়। এই মামলায় মাস তিনেক আগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১ এপ্রিল জামিনে জেল থেকে মুক্ত হন তৌহিদ।
তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বাড়ি ফেরার পর তৌহিদ বড়দল বাজারের একটি দোকানে বসে ছিলো। তার পরিচিত প্রতিবেশি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ রানা বাবু সন্ধ্যার দিকে তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর নাহিদ তার সহযোগী কাজল সানা, আইউব আলি মালি, টুটুল সানা ও ইয়াসিন সরদারকে নিয়ে তার ওপর হামলা করে। তারা তাকে লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে বেপরোয়াভাবে মারপিট করতে থাকে। জীবন বাঁচাতে তৌহিদ দৌড়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল আলিমের বাড়িতে পৌঁছে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় খুলনার একটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তার।
তার পারিবারিক সূত্র আরও জানিয়েছে, তৌহিদ স্থানীয় মাদকসেবীদের পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিল। এ কারণে তাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে এবং সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করে তারা। এরই প্রেক্ষিতে নাহিদ, কাজল, আইউব, ইয়াসিন ও টুটুল সানা ক্ষিপ্ত ছিল। তারাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, তৌহিদ সানা ২২টি মাদক মামলার আসামি। গত বছর অক্টোবর সাসে সে গ্রেফতার হবার পর গত ২৬ মার্চ জামিনে বাড়ি আসে। ওই দিন তাকে কয়েকজন যুবক পিটিয়ে আহত করে।
ওসি আরও জানান, তৌহিদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন