লক্ষ্মীপুরে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার কমলনগর, রামগতি, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সদর এবং রামগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক হারে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারী প্রতিষ্ঠানেও একের পর এক চুরি সংঘটিত হওয়ায় জেলার সর্বত্র জনমনে চুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী দপ্তরে চুরি সংঘটিত হওয়ায় ব্যবসায়ী ও সাধারণদের মাঝে চোর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকাংশ চুরির ঘটনায় থানায় কোন মামালা হয়না, দু’একটি থানায় মামলা হলেও পুলিশ চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার ও প্রকৃত চোরকে চিহ্নিত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে রামগঞ্জে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও কমলনগরের চরবসু এসইএসডি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। রামগঞ্জে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রিজাউল করিম জানান, চুরির ঘটনায় পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
অপর দিকে সোমবার (২ এপ্রিল) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী উচ্চ বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল পাঁচটি আলমিরা ভাঙচুর করে দলিল, ল্যাপটপ ও প্রায় এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। একই রাতে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ, চরমার্টিন এবং চর লরেঞ্চ এলাকায় অন্তত ৬টি বাড়িতে চুরি হয়েছে। সোমবার রাতে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ এলাকা থেকে একজন চোরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
অপর ঘটনায় সোমবার (২ এপ্রিল) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ঝাউডগি গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে ডাকাতের গুলিতে মোসলেহ উদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় তাঁর পরিবারের আরও তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেন ডাকাতের দল।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন