শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

‘বাকি জীবনটাও মানুষের সেবা করে যেতে চাই’

আনোয়ারুল হক আনোয়ার : | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

অনেক কীর্তিমান জ্ঞানীগুনী ব্যক্তি আছেন। যাদের কাজ মানব সেবার মাধ্যমে আত্মার শান্তি লাভ। কিভাবে মানুষের সেবা করা যায়, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তারা। এদের মধ্যে একজন দেশখ্যাত মনরোগ বিশেষজ্ঞডা. এ কে এম কামারুজ্জামান। চেয়ারম্যান, হাছান-জামিলা ফাউন্ডেশন ও জামান’স ক্লিনিক এবং মাইডার হোম।

অবসর জীবনেও বসে নেই  এই মানবসেবী। নাড়ির টানে আমেরিকা থেকে বছরে কয়েকবার চলে আসেন তার জন্মস্থান কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্টে। আলাপচারিতায় ডা.কামারুজ্জামান জানান, আমার ধ্যাণ ধারণা নাঙ্গলকোর্টে মানব সেবায় কি কি করা যায়। কয়েকদিন পূর্বে হাসান-জামিলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ’কম্পিউটার লার্নিং সেন্টার’ চালু করেছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবনটিতে প্রতিব্যাচে ১২জন করে ৫ব্যাচে ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে নামমাত্র ফিতে। নাঙ্গলকোর্টে মসজিদ ব্যতীত শুধু স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, এতিমখানা, কম্পিউটার লার্নিং সেন্টারসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। ডা. কামারুজ্জামানের পিতা মরহুম আলহাজ হাছানুজ্জামান সাহেবের ওছিয়ত মোতাবেক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫একর ভ‚মি দান করেছেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১শ’ কোটি টাকার উপরে। এছাড়াও আগামীতে মানবকল্যাণকর আরো একাধিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, নাঙ্গলকোর্ট তথা বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মরহুম হাছানুজ্জামানের পুত্র ডা. কামারুজ্জামান দেশসেরা মনরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃত। কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেন। পিতা হাসানুজ্জামান ও মা বেগম জামিলা খাতুনের নামে ১৯৮৪ সালে ’হাছান-জামিলা ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটি সম্পূর্ণরুপে মানব সেবামূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তার পিতা আলহাজ হাছানুজ্জামান ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও ধর্মভীরু। ১৯৩৯ সালে রজত জুবলী উপলক্ষে সরকার তার প্রতিভার স্বীকৃতিস্বরুপ ’খান সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
ডা. কামারুজ্জামান নিম্নবিত্ত ও গরীর রোগীদের কথা বিবেচনা করে ১৯৯০সালে নাঙ্গলকোর্টে প্রায় দেড় একর ভূমিতে জামান’স ক্লিনিক ও মাইডার হোম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, আমি ধনীদের জন্য হাসপাতাল চালু করিনি। নিম্নবিত্ত ও গরীব রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমার হাসপাতাল। প্রাকৃতিক নির্মল পরিবেশ, স্বল্প খরচ ও পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে হাসপাতালের রোগীরা। রাজধানীর নিকুঞ্জেও জামান’স ক্লিনিক ও মাইডাস হোম রয়েছে।
এক সময়ের অজোপাড়া গ্রাম লাঙ্গলকোর্টকে আলোকিত করেছেন এই পরিবার। বিনিময়ে পরিবারটি লাখো মানুষের শ্রদ্বা ও ভালবাসা পেয়ে আসছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন